অধিনায়ক হিসেবে ইতিহাস লিখলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয় তার নেতৃত্বেই। তাও আবার ৪-১ ব্যবধানে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আরো কয়েকটি রেকর্ড। অস্ট্রেলিয়াকে তাদের টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সবচেয়ে কম রানে বেঁধে ফেলা (৬২ রান)। আর সবচেয়ে কম ওভারে অলআউটের (১৩.৪ ওভার)।
এমন সব বীরগাঁথা লেখা হয়েছে মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে। যে ফরম্যাটে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ, সেই ফরম্যাটেই অসাধারণ এক সিরিজ জয়।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে পঞ্চম ও শেষ ম্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে ৬০ রানে হারিয়ে ৪-১ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে রাখল বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১২২ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ১২৩ রানের তাড়ায় সাকিব ও সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে ৬২ রানে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এমন দুর্দান্ত জয়ের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে বাংলাদেশ দলনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বললেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের জন্য ছেলেরা ক্ষুধার্থ ছিল। তারা তাদের সেরাটা দিয়েছে। আমার আমাদের পরিকল্পনায় দুর্দান্তভাবে সফল হয়েছি। অবশ্যই এই উইকেটে ব্যাটসম্যানদের জন্য বেশ কঠিন। তবে স্কোর ১২০-১৩০ এ নিয়ে যেতে আমরা সফল হয়েছি। দলের সব বোলার ভালো বল করেছে। ছেলেদের পারফরম্যান্সের এই উন্নতিটা দারুণ হয়েছে। জিম্বাবুয়ের পর ঘরের মাঠের এই সিরিজেও আমাদের ফাস্ট বোলার ও স্পিনাররা কঠোর শ্রম দিয়েছে। সংকটের সময়েও তারা তাদের মেজাজ ঠিক রেখেছে, এবং এটাই টি-টোয়েন্টির বড় বিষয়। এখানে সব সময় চাপে থাকতে হয়। গোটা দলের সবাই সেরাটা ঢেলে দিয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আরো বলেন, ‘সিরিজ শুরুর আগে আমি দলের বোলারদের বলেছিলাম যে, এই সিরিজে ভালো করার প্রধান দায়িত্ব বোলারদের। বোলারাই ম্যাচ জেতাতে পারে এখানে। তারা তাদের দায়িত্ব চমৎকার নিভিয়েছে। ছেলেরা যেভাবে লড়াই করেছে তা সত্যি অসাধারণ ও উপভোগ্য। আমরা সবসময়ই অনুভব করে আসছি যে, আমরা খুব ভালো দল। বাংলাদেশে আসা বিশ্বের যে কোনো দলকে আমরা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারি। সিরিজ জিততে পারি। যদিও র্যাংকিং সে কথা বলছিল না। হৃদয়ের ভেতর থেকেই আমি সবসময় অনুভব করি যে, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমরা দুর্দান্ত দল হতে পারি।’