বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার বেগে সমুদ্রবন্দরের দিকে ধেয়ে আসছে। এতে বাড়তে পারে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ এবং সেই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তবে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে না বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার ১০টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক, নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। যেহেতু নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেহেতু সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কসংকেতই অব্যাহত থাকছে। সতর্কসংকেত উন্নীত করার সম্ভাবনাও নেই। সাধারণত ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে প্রথমে চার নম্বর সতর্কসংকেত এবং পরে ক্রমান্বয়ে ৫ থেকে ৭ নম্বর সতর্কসংকেত জারি করা হয়। এবার সে ধরনের কোনো সম্ভাবনা নেই।
নিম্নচাপের প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থা আরও দুই থেকে তিনদিন থাকতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হতে পারে।
তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি আজ ভোরের দিকেই নিম্নচাপে পরিণত হয়। এরপর নিম্নচাপটি দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণ–পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে আরও ঘনীভূত হতে পারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ আবহাওয়াবিদ বলেন, সারাদেশেই আজ সারা দিন বৃষ্টি থাকতে পারে। এছাড়া আরো ২-৩ দিন বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশের চার বিভাগেই ভারী বর্ষণের সতর্কবার্তা ইতোমধ্যেই দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটি হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে মাঝারি ও ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে সেটিকে মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি ধরা হয়। আর ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার হলে ভারী এবং তার চেয়ে বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে সেটিকে ধরা হয় অতিভারী বৃষ্টিপাত হিসেবে।
খুলনা গেজেট/এনএম