প্রত্যাবর্তনেই ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেললেন মাহমুদউল্লাহ। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো দেড় শ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটসম্যান ইনিংস শেষ করেছেন মাথা উঁচু করে। জিম্বাবুয়ে বোলারদের স্বস্তি দিয়ে বাংলাদেশ ৪৬৮ রানে থামলেও অপরাজিত রয়ে গেছেন মাহমুদউল্লাহ। ঠিক ১৫০ রানে অপরাজিত ছিলেন আটে নামা এই ব্যাটসম্যান।
দুজনই পেসার, তবে এ ক্ষেত্রে তাসকিন আহমেদ ব্লেসিং মুজারাবানিকে ‘হতাশ’ করলেন ব্যাটিংয়ে। ৮৬তম ওভার মুজারাবানির অফস্টাম্পের বাইরের বলটা ছেড়ে দিয়ে একটু নেচেই নিলেন তাসকিন। হাবভাব এমন যে, যা কিছুই করো, আউট করতে পারবে না। মুজারাবানি সেটা সহজভাবে নিতে পারলেন না, এগিয়ে গেলেন। এগিয়ে এলেন তাসকিনও। খানিক বাদে তাসকিনের হেলমেটের গ্রিলে মুখ লাগিয়ে তাসকিনের সঙ্গে তর্কে মাতলেন মুজারাবানি। তাসকিনও ছেড়ে কথা বললেন না।
হারারে টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে উত্তাপের এই শেষ নয়।
৮৮তম ওভারে বোলিং করতে এসেছিলেন ভিক্টোর নিয়াউচি। তবে নিয়াউচি ডেলিভারিটা সম্পন্ন করার আগেই সরে গেলেন মাহমুদউল্লাহ, প্রস্তুত ছিলেন না বলে। নিয়াউচিও সেটি সহজভাবে নেননি, ডেলিভারি না করলেও বলটা ছুড়ে মেরেছিলেন। পরেরবার নিয়াউচি ডেলিভারি-স্ট্রাইডে গেলেন ঠিকই, তবে এবার তিনি ডেলিভারিটা করলেন না। এবার উত্তপ্ত হয়ে উঠলেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি হাঁটা দিলেন বোলারের পেছন পেছন, আঙুল তুলে কিছু একটা বলছিলেনও তাকে। শেষে আম্পায়ার মারাই এরাসমাস এসে মধ্যস্থতা করেছেন দুজনের। পরেরবার রান-আপ শুরু করেও থেমে গিয়েছিলেন নিয়াউচি।
এমন উত্তাপের মধ্যেই জিম্বাবুয়েকে হতাশ করে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ ও তাসকিন। সেঞ্চুরি করে নিজের টেস্টে ফেরা উদ্যাপন করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তাসকিন যেন বনে গেছেন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান। পেয়ে গেছেন ফিফটি। টেস্টে এটি তাঁর প্রথম পঞ্চাশোর্ধ সংগ্রহ। ২০১৭ সালে ক্রাইস্টচার্চে এর আগে করেছিলেন ৩৩ রান, সেটিই ছিল টেস্টে তার সর্বোচ্চ স্কোর। আজ সেটিকেও ছাড়িয়ে গেছেন তিনি। সর্বোচ্চ স্কোর গড়ার পথে এখন পর্যন্ত মেরেছেন ৭টি চার। ৩২ রানে অবশ্য একটা জীবনও পেয়েছেন তিনি। রিচার্ড এনগারাভার বলে দ্বিতীয় স্লিপে পড়েছে তার ক্যাচ।
তাসকিন ও মাহমুদউল্লাহ জুটি আজ রেকর্ড গড়েছে। বাংলাদেশের পক্ষে নবম উইকেটে জুটিতে সর্বোচ্চ ১৯১ রান গড়েছেন দুজন। ৭৫ রান করে তাসকিন শুম্বার বলে আউট হয়ে হয়ে যাওয়ায় একটুর জন্য বিশ্বরেকর্ড হয়নি।