২০২২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিতব্য অনুর্ধ-১৯ বিশ^কাপকে সামনে রেখে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। ১৬ আগস্ট থেকে বিকেএসপিতে ইয়ং টাইগার্সের নতুন ব্যাচকে এই কন্ডিশনিং ক্যাম্পে ডাকা হবে। ক্যাম্পের জন্য প্রাথমিক ভাবে বাছাই করা হয়েছে ৪৫ জন খেলোয়াড়কে।
ন্যাশনাল গেম ডভেলপমেন্ট ম্যানেজার এইএম কাওসার আরো জানান , সেখান থেকে পরে খেলোয়াড় সংখ্যা কমিয়ে ২৫ থেকে ৩০ জনে নামিয়ে আনা হবে। চ্যাম্পিয়ন হিসেবে পরবর্তী যুব বিশ^কাপে অংশ নেয়ার জন্য এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে দল পাঠানোর উপর জোর দিচ্ছে বিসিবি। অনুর্ধ-১৯ দলের নতুন এই দলটির জন্য সঠিক অনুশীলন সুচি প্রনয়ন করতে চায় তারা।
কোভিড-১৯ এর মাহামারিতে পড়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি মাস চলে গেছে তাদের। কাওসার বলেন এখন তাদের লক্ষ্য ওই ঘাটতিটুকু পুষিয়ে আনা। তিনি বাসসকে বলেন,‘ আমরা ইতোমধ্যে ৪৫ জনকে ক্যাম্পের জন্য নির্বাচন করেছি। পরে ওই সংখ্যা ২৫ থেকে ৩০ জনে নামিয়ে আনা হবে।’
বিসিবি কর্মকর্তা বলেন, ‘ওয়ানডে ও চারদিনের ম্যাচের দল গঠনের লক্ষ্যে এবার চুড়ান্ত তালিকায়ও খেলোয়াড় সংখ্যা বেশী রাখা হবে। বিকেএসপিতেই আমরা এই ক্যাম্প আয়োজনের পরিকল্পনা করছি। সেখানে যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা অন্য ভেন্যুর কথা চিন্তা করবো।
আপনারা জানেন যে বিকেএসপির সুযোগ সুবিধাগুলো খেলোয়াড়দের জন্য একেবারেই নিখাদ। আর এই মহামারিকালে আবাসিক অনুশীলন ক্যাম্প পরিচালনার জন্য সেটিই হচ্ছে সেরা স্থান। এখন দেখা যাক কি হয়।’
প্রশিক্ষন ক্যাম্প শুরুর আগে আগামী ১৬ আগস্ট সব খেলোয়াড়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবে বিসিবি। কাওসার বলেন, সফর সুচি বিনিময়ের জন্য তারা অন্য দেশের বোর্ড গুলোর সঙ্গেও যোগাযোগ করতে শুরু করেছে। যাতে দ্রুত সফরসুচি প্রনয়ন করা যায়।
তিনি বলেন,‘ অনুর্ধ-১৯ এর নতুন এই ব্যাচের জন্য আমরা কিছু সফর সুচি আদান প্রদানের পরিকল্পনা করেছি। বিশ^কাপের আগে দলটি কি পরিমান ম্যাচ খেলবে সেটি নিয়েও আরেকটি পরিরকল্পনা ছিল। কিন্তু মহামারির কারণে এ সব পরিকল্পনা বাতিল হয়ে গেছে। তবে এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই। এখন আমরা ওই সব সফর পুন:নির্ধারনের চেস্টা করছি। এই জন্য বিভিন্ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। আশা করি আগামী কিছুদিনের মধ্যে এর অগ্রগতি জানা যাবে।’
গত বিশ^কাপে সবাইকে বিষ্মিত করেছে আকবর আলী এন্ড কোম্পানী। শক্তিশালী ভারতকে তিন উইকেটে হারিয়ে প্রথমবারের মত শিরোপা জয় করেছিল বাংলাদেশের যুবারা। অপরাজিত ৪৩ রানের মহামুল্যবান ইনিংস খেলে সামনে থেকেই ফাইনালে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে গেছেন আকবর আলী। অসাধারণ এই সফলতার নেপথ্যে ছিল বিশ^কাপের আগে বেশ কিছুু ম্যাচ খেলা । প্রস্তুতির জন্য দলটি সর্বমোট ৩৬টি ম্যাচে অংশ নিয়েছিল। যে কারণে তাদের উত্তরসুরীদেরও সেই পথে এগিয়ে নিতে চায় বিসিবি।
কাওসার বলেন,‘ নতুন এই দলের জন্য আমরা অন্তত ৩০টি ওয়ানডে ম্যাচের ব্যবস্থা করতে চাই। এবং ৫-৬টি চার দিনের ম্যাচ। সুযোগ হলে এর বেশী ম্যাচে খেলতে চাই আমরা। মহামারির কারণে ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু ম্যাচ খেলার সুযোগ হারিয়েছি।’
খুলনা গেজেট/এএমআর