বেশ কয়েক বছর পর্দায় না থাকলেও জনপ্রিয়তা কমেনি এই অভিনেত্রীর। দর্শক থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা মুখিয়ে রয়েছেন আবারও পর্দায় তার অভিনয় দেখার জন্য।
বাংলা চলচ্চিত্রে নব্বইয়ের দশকে নন্দিত অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন শাবনূর। যে কয়জন নায়িকা সে সময় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করে নিজের নামটা আজও ভক্তদের মনে গেঁথে রেখেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম তিনি। ১৯৯৩ সালে ‘চাঁদনী রাতে’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় নাম লেখান এই অভিনেত্রী। আজ ১৭ ডিসেম্বর শাবনূরের জন্মদিন। ৪৪ পেরিয়ে ৪৫ বছর বয়সে পা রাখলেন এই অভিনেত্রী।
দীর্ঘ ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে দর্শকের ভালোবাসার পাশাপাশি তার ঝুলিতে জমেছে অসংখ্য পুরস্কার। অভিনেত্রী প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ‘দুই নয়নের আলো’ (২০০৬) ছবিটি দিয়ে। এ ছাড়া তারকা জরিপে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বিভাগে ১০ বার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পেয়েছেন, তিনবার বাচসাস পুরস্কার সম্মাননাও লাভ করেছেন অভিনেত্রী।
শাবনূর তার অভিনয় নৈপুণ্য ও স্বকীয়তা দিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছিলেন অনন্য উচ্চতায়। সে সময়ে প্রায় সব নায়কের সঙ্গেই জুটি বেঁধে কাজ করেছেন তিনি, তবে সবচেয়ে বেশি সফল ছিলেন নায়ক সালমান শাহর সঙ্গে জুটি বেঁধে। সহশিল্পীদের মধ্যে প্রয়াত সালমান শাহর সঙ্গে তার জুটি ছিল সবচেয়ে বেশি হিট। সালমানের অকালমৃত্যুর আগ পর্যন্ত মাত্র চার বছরে তিনি ও সালমান সর্বাধিক ১৪টি দর্শকনন্দিত ও ব্যবসাসফল ছবি করেছেন। এ ছাড়া প্রয়াত মান্না, ওমর সানী, বাপ্পারাজ, আমিন খান, অমিত হাসান, রিয়াজ আহমেদ, ফেরদৌস আহমেদ, শাকিল খান, শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তিনি।
শাবনূর মানেই শুধু দুর্দান্ত সিনেমা নয়, তার সঙ্গে ছিল মনে রাখার মতো একাধিক জনপ্রিয় গানও। যেমন- ‘কিছু কিছু মানুষের জীবনে’, ‘তুমি আমার এমনই একজন’, ‘উত্তরে ভয়ংকর জঙ্গল’, ‘ও সাথী রে’, ‘এই বুকে বইছে যমুনা তার অথৈ’সহ একাধিক জনপ্রিয় গান এবং সিনেমা দর্শকের মনে এতটাই জায়গা করে নিয়েছে যে, আজও মনে মনে গুনগুন করেন তারা।
বেশ কয়েক বছর পর্দায় না থাকলেও জনপ্রিয়তা কমেনি এই অভিনেত্রীর। দর্শক থেকে ভক্ত-অনুরাগীরা মুখিয়ে রয়েছেন আবারও পর্দায় তার অভিনয় দেখার জন্য।
খুলনা গেজেট/এনএম