খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, রাজি পাকিস্তান; ভারতের ম্যাচ দুবাইয়ে : বিসিবিআই সূত্র
  গুমের দায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২২ সদস্য চাকরিচ্যুত, গুম কমিশনের সুপারিশে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে

 ৪০ মণের সম্রাট ও ৩৫ মণের শুভরাজের কোন ক্রেতা আসেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে ঘিরে কোরবানির পশু বেচাকেনাও প্রায় শেষ। তবে সাতক্ষীরার কোরবানির পশুর মধ্যে অন্যতম প্রায় ৪০ মণ ওজনের ‘সম্রাট’ ও ৩৫ মণ ওজনরে  ‘শুভরাজ’ বিক্রি হয়নি। এবার গরু দুটি পশুর হাট মাতানোর আশা করা হলেও তেমন কিছুই হয়নি। অস্ট্রেলিয়ান হলেস্টাইন ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি গরু কেনার জন্য ক্রেতা আসেনি।
এতে হতাশ হয়েছেন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ঘুড্ডেরডাঙ্গী গ্রামের প্রভাষক ইয়াহইয়া তমিজী। নিজ বাড়িতেই পরম যত্নে লালন-পালন করে বড় করে তুলেছেন সম্রাট ও শুভরাজ নামের গরু দুটি। প্রায় ৪০ মণ ওজনের সম্রাটে  দাম হাকা হয়েছে ১৬ লাখ আর  ৩৫ মণ ওজনের শুভরাজের দাম ধরা হয়েছে ১৪ লাখ টাকা।
সরেজমিনে প্রদক্ষিণ করে জানা যায়, পাঁচ বছর বয়সের সম্রাট ও সাড়ে চার বছর বয়সের শুভরাজকে এ বছরই কোরবানি ঈদে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন প্রভাষক ইয়াহইয়া তমিজী। গরু দুটি এতই বৃহদাকারের যে গোয়াল থেকে বের করা দায়। সারাদিন গোয়ালেই ফ্যানের বাতাসে দিন কাটে তাদের। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রকৃতির বাতাসও। এদের মধ্যে সম্রাটের উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৮ ফুট ২ ইঞ্চি। আর শুভরাজের উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ও দৈর্ঘ্য ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি। ভূষি, একাত্তরের প্রি-মিক্স, সয়াবিনের খৈল আর ইয়াহইয়া তমিজীর নিজ বাড়ির টাটকা ঘাস খেয়েই বেড়ে উঠেছে সম্রাট ও শুভরাজ। একেকটি গরুর পেছনে দৈনিক ব্যয় গড়ে এক হাজার টাকা।দিনে পাঁচ থেকে ছয় বার গোসল দিতে হয় তাদের। ইয়াহইয়া তমিজী ও তার স্ত্রী মিলেই করেন সবকিছু।  প্রতিদিন তাদের বাড়িতে বিভিন্ন পেশার মানুষ গরুটি দেখতে ভিড় জমালেও কোন ক্রেতা সাড়া দেয়নি। অনেকে গরুর সাথে ছবি তুলেছেন।
গরু দুটি দেখতে এসে বিস্মিত হন আবিহার রহমান নামের এক ক্রেতা। তিনি বলেন, এত বড় গরু আগে কখনো দেখিনি। গরু দু’টি দেখতে ভালো, ওজনও অনেক বেশি।
গরু দুটির মালিক ইয়াহইয়া তমিজী বলেন, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থেকে ছোট বাছুর অবস্থায় সম্রাট ও শুভরাজকে এক লক্ষ সত্তোর হাজার টাকায় কিনেছিলেন। সেই থেকে পরম যত্নে তাদের বড় করে তুলেছেন। এক বিঘা সাত কাটা ভিটে বাড়িতে নিজেদের বসত ঘর বাদে সর্বত্রই ঘাষ চাষ করা হয়েছে তাদের খাওয়ানোর জন্য।
তিনি বলেন, পবিত্র হজব্রত পালনের জন্য গরু দুটি পরম যত্নে লালন-পালন করেছি। এবারের কোরবানি ঈদে বিক্রি করতে চেয়েছিলাম তাদরে। এজন্য ৪০ মণের সম্রাটের জন্য ১৬ লাখ ও ৩৫ মণের শুভরাজের জন্য ১৪ লাখ টাকা দাম প্রত্যাশা করেছিলাম। অনেকেই দেখতে আসছেন। কিন্তু কোন ক্রেতা আসেনি। প্রতিদিন যে পরিমান খরচ তাতে আমি বিপদে পড়ে গেলাম। এখন কী করবো বুঝতে পারছি না।
খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!