খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাতে ঢাকার চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি, নিশ্চিত করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী মুখপাত্র
  ২০২৫ সালে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৭৬ দিন, একটানা বন্ধ ২৮ দিন

৪০ ইঞ্চির বর, ৪২ ইঞ্চি কনে !

গেজেট ডেস্ক

বর আব্বাস উদ্দীনের বয়স ৩০ হলেও উচ্চতা মাত্র ৪০ ইঞ্চি। ছেলে বামন হওয়ায় বিয়ের জন্য কনে মিলবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাবা-মা। অপরদিকে মিম খাতুনের বয়স ১৮ এবং উচ্চতা ৪২ ইঞ্চি। বামন মেয়েকে নিয়েও চিন্তায় ছিলেন পরিবারের লোকজন।

দুজনের বিয়ে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন দুই পরিবার। অবশেষে শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) রাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর এলাকার আউশিয়া গ্রামে দুই বামন ছেলে-মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামের লোকজনের সহযোগিতায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে দুই পরিবারে চলছে আনন্দ উল্লাস। আব্বাস উদ্দীন ওই উপজেলার আউশিয়া গ্রামের আজিবর মণ্ডলের ছেলে ও মিম খাতুন একই উপজেলার লক্ষনদিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে।

আব্বাস মা সাহিদা বেগম জানান, তার দুই ছেলে। ছোট ছেলের উচ্চতা স্বাভাবিক। অনেক আগেই ছোট ছেলেকে বিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বড় ছেলে আব্বাস বামন হওয়ায় তাকে নিয়ে সব সময় চিন্তা করতেন পরিবার। অবশেষে সেই দুশ্চিন্তার অবসান ঘটেছে।

আব্বাস উদ্দীনের বাবা আজিবর মণ্ডল জানান, আমরা কৃষক পরিবার অনেকদিন ধরে ছেলের জন্য মেয়ে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অবশেষে শৈলকুপার লক্ষনদিয়া গ্রামে একটি মেয়ে খুঁজে পাওয়া যায়। আমরা জানতে পারি গ্রামের ইউনুস আলীর একটি মেয়ের আছে। পরে বিয়ের পয়গাম পাঠানোর পর রাজি হয় কনের পরিবার। এরপর আসে সেই মাহেদ্রক্ষণ। শুক্রবার রাতে ছেলে আব্বাস উদ্দীনের সঙ্গে মিমের বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই বিয়েতে ১৫ জন বরযাত্রী যায়।

শৈলকুপা পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. বকুল আলী বিশ্বাস বলেন, পৌর এলাকার আউশিয়া গ্রামের আজিবার মন্ডলের ছেলে আব্বাস মন্ডল তেমন কোনো কাজকর্ম করতে পারেন না। আমরা পৌরসভা থেকে তার জন্য একটা প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি। আব্বাস বামন হওয়ায় তার বয়স ৩০ হলেও উচ্চতা মাত্র ৪০ ইঞ্চি। বামন হওয়ায় কেউ তার সঙ্গে মেয়ে বিয়ে দিতে চাইতো না। এর মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলার লক্ষন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলী মোল্লার বড় মেয়ে বামন মিম খাতুনকে তার পছন্দ হয়। পরে এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় তাদের বিয়ে দেওয়া হয়।

শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন, আউশিয়া গ্রামের আব্বাস মন্ডল বামন হওয়ায় তাকে আমরা একটি প্রতিবন্ধী কার্ড করে দিয়েছি। সেখান থেকে তিনি আর্থিক সুবিধা পান। তার বয়স ৩০ এর বেশি হলেও বিয়ের জন্য কোনো মেয়েই তাকে পছন্দ করতো না। হঠাৎ করেই আজ জানতে পারি লক্ষন্দিয়া গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে বামন মিমের সঙ্গে গত রাতে তার বিয়ে হয়েছে।

নবদম্পতি আব্বাস ও মিম জানান, সমাজের চোখে বামন হলেও বিয়ে করে তারা খুশি। এই নবদম্পতি সবার দোয়া কামনা করেন।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!