শুরুতে কিছুটা বিবর্ণ ছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ব্রেন্টফোর্ড। পরে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় ইউনাইটেড। একে একে গোল পান দলটির তিন স্ট্রাইকার। তবে গোল পাননি তাদের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ৩-১ গোলে জিতেছে ইউনাইটেড। সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে রাফ রাঙ্কনিক শিষ্যরা। সুযোগ পেয়ে শুরু থেকেই তাদের চেপে ধরে ব্রেন্টফোর্ড। ম্যাচের ১২তম মিনিটে সুযোগ এসেছিল এগিয়ে যাওয়ারও।
তবে বায়ান এমবামোর নেওয়া শট পা বাড়িয়ে কর্নারের বিনিময়ে বাঁচিয়ে দেন ডেভিড ডি গিয়া। পরের দুই মিনিটের দুটি কর্নারেই সুযোগ আসে ব্রেন্টফোর্ডের সামনে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি তারা। ২৫তম মিনিটে প্রথম কোনো বড় সুযোগ পায় ইউনাইটেড। কিন্তু ডিয়েগো দালাতের দূর থেকে নেওয়া শট লক্ষ্যে ছিল না।
আট মিনিট বাদে ওয়ান-অন ওয়ান সিচুয়েশনে বল পেয়ে গিয়েছিলেন ইয়েনসেনে। কিন্তু কোনোরকমে পা লাগিয়ে সেটিকে বাঁচিয়ে দেন ডেভিড ডি গিয়া। গোলশূন্য ব্যবধানে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে দুদল। চোট কাটিয়ে এই ম্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। প্রথমার্ধে তিনি থাকেন নিজের ছায়া হয়ে।
৪৭তম মিনিটে এসে একটি হেড করেছিলেন, কিন্তু সেটা পোস্টে লাগলে ফের হতাশ হতে হয় ইউনাইটেডকে। ৫৫ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পায় তারা। ফ্রেডের রক্ষণের ওপর দিয়ে বাড়ানো ক্রস দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হেডে জালে পাঠান ইয়েলাংয়া।
সাত মিনিট পরই ব্যবধান দ্বিগুণ করে ইউনাইটেড। বল বাড়ানো হয়েছিল রোনালদোর উদ্দেশ্যে। দারুণভাবে সেটি তিনি পৌঁছে দেন ব্রুনো ফার্নান্দেজের কাছে। গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে আসলে ব্রুনো বল দেন গ্রিনউডকে। ফাঁকা জালে বল পাঠাতে কোনো সমস্যাই হয়নি তার।
ম্যাচের ৭১তম মিনিটে রোনালদোকে তুলে ফেলেন কোচ। নিজের অসন্তুষ্টি লুকাতে পারেননি তিনি। রোনালদোর বদলি হিসেবে খেলতে নামা র্যাশফোর্ডও আস্থার প্রতিদান দেন। ফার্নান্দেজের পাস ডি-বক্সে পেয়ে জোরাল শটে কাছের পোস্ট দিয়ে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তিনি। ৮৫তম মিনিটে জটলার মধ্যে গোলমুখে বল পেয়ে টোকায় ব্যবধান কমান আইভ্যান টনি। তবে তাতে জয় পেতে সমস্যা হয়নি ইউনাইটেডের।