খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী : রায় কবে জানা যাবে আজ

৩ নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : ট্রাম্প শিবির

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপদেষ্টারা।
হোয়াইট হাউজ ও ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামী ৩ নভেম্বরেই অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।

যুক্তরাষ্ট্রে ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে অন্ততপক্ষে দেড় লাখের বেশি। এমন অবস্থায় নভেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলে জনসাধারণ বুথে গিয়ে কীভাবে ভোট দেবে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিল বিরোধী ডেমোক্র্যাট শিবির।

জনস্বাস্থ্য বিধি মেনে তাই ‘মেইল-ইন ভোটিং’কেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় সময় রবিবার হোয়াইট হাউজ চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস নির্বাচন পেছানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেন। সিবিএস চ্যানেলের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা ৩ নভেম্বর নির্বাচনের আয়োজন করবো। প্রেসিডেন্ট এ নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন।

ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের উপদেষ্টা জ্যাসন মিলারের কণ্ঠেও একই কথা প্রতিধ্বনিত হয়েছে। ফক্স নিউজ সানডে-অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘৩ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মিডোস বলেন, ‘মেইল-ইন-ব্যালটস’ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়ায় নির্বাচন পেছানোর কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের ‘ফেইস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মিডোস বলেন, আমরা আগামী ৩ নভেম্বরই নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছি এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই নির্বাচনে জয়ী হতে যাচ্ছেন।

প্রেসিডেন্টের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের উপদেষ্টা জ্যাসন মিলারের কণ্ঠেও একই ধ্বনি শোনা গেছে। ফক্স নিউজ সানডে অনুষ্ঠানে মিলার বলেন, আগামী ৩ নভেম্বর নির্বাচন হতে যাচ্ছে এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও ৩ নভেম্বর নির্বাচন চান।

দীর্ঘদিন ধরেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মেইল-ইন পদ্ধতিতে ভোট হলে তাতে জালিয়াতি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আসছেন। গত সপ্তাহে ট্রাম্প এক টুইটে বলেছিলেন, ‘সার্বজনীন মেইল-ইন ভোটিং নভেম্বরের নির্বাচনকে ইতিহাসের সবচেয়ে ভুল ও প্রতারণামূলক নির্বাচণে পরিণত করবে; যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক বিব্রতকর।’

দেশটিতে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বুথে গিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জনসাধারণের ভোট দেয়ার বিষয়টি নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়ে মেইল-ইন-ভোটিংয়ের পক্ষে মত দিয়েছিল বিরোধীদল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেইল-ইন-ভোটিংয়ে জালিয়াতি হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়ে নির্বাচন পেছানোর প্রস্তাব দেন।

তবে নির্বাচন স্থগিত কিংবা পেছানোর কর্তৃত্ব প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেই। নির্বাচন পেছাতে হলে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব মার্কিন কংগ্রেসের উভয় কক্ষ থেকে পাস হতে হয়। প্রতিনিধি পরিষদ ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় সেখান থেকে পাসের সম্ভাবনা ছিল না।

এছাড়া মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রেসিডেন্টে ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানের নেতা মিচ ম্যাককনেল এবং নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের সংখ্যালঘু দল রিপাবলিকানের নেতা কেভিন ম্যাককার্থি উভয়ই ট্রাম্পের নির্বাচন পেছানোর ধারণা নাকচ করে দেন।

রিপাবলিকান দলীয় গভর্নর আসা হাটচিনসন সিএনএনকে বলেছেন, র্নিধারিত সময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত এবং সঠিকভাবে ব্যালট বহন নিশ্চিত করার দায়-দায়িত্ব রাজ্যগুলোর।

 

খুলনা গেজেট / এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!