৩৭৫ দিন পর মিরপুর শের-ই-বাংলায় এলেও ফিটনেস টেস্ট দেননি সাকিব আল হাসান। ফিটনেস যাচাইয়ের জন্য আরও কিছু দিন সময় পাচ্ছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। আগামী বুধবার সাকিবের ফিটনেস টেস্ট হবে, নিশ্চিত করেছেন বিসিবির ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার।
মূলত দুইটি কারণে সাকিবের ফিটনেস টেস্ট পিছিয়েছে। প্রথমত, মিরপুরের ইনডোরে আজ ৮০ ক্রিকেটারের ফিটনেস টেস্টের প্রক্রিয়া চলছিল। সবারই দেয়ার কথা ছিল বিপ টেস্ট। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চারটি গ্রুপে ২০ জন করে টেস্ট দেওয়ার সূচি ছিল। কিন্তু জনসমাগমে করোনা ঝুঁকির কথা চিন্তা করে সাকিবের বিপ টেস্ট পিছিয়েছে।
দ্বিতীয়ত, জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান কেলাফতের সঙ্গে আজ সাকিবের প্রথম সাক্ষাৎ হয়েছে। অন্য সবার মতো যথাযথ প্রক্রিয়ার ভেতরে যেতে হবে সাকিবকে। এজন্য তার ফিটনেস নিয়ে এক-দুই সেশন কাজ করবেন কেলাফতে। এরপরই হবে সাকিবের ফিটনেস পরীক্ষা।
সাকিবের বিপ টেস্ট নিয়ে তুষার কান্তি হাওলাদার বলেন, ‘যাদের সঙ্গে সাকিবের বিপ টেস্ট হওয়ার কথা, তাদের কারও কোভিড পরীক্ষা করানো হয়নি। এখন ফিটনেস পরীক্ষা করালে জনসমাগমে করতে হবে। কিছুটা ঝুঁকি থাকে। এছাড়া সে দীর্ঘদিন পর ফিরেছে। ফিজিও-ট্রেনাররা তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্যও একটু সময় লাগবে। বুধবার হতে পারে তার ফিটনেস টেস্ট।’
ফিটনেস পরীক্ষা পেছালেও বড় কোনো সমস্যা হচ্ছেনা সাকিবের। ১২ নভেম্বর হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফট। সাকিব খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট আছে কিনা জানা যাবে আগেই।
এর আগে সকাল সাড়ে আটটার কিছু সময় পর প্রিয় ভুবনে ফেরেন সাকিব। মিরপুরের সবুজ ঘাস সকালের মিষ্টি রোদ স্বাগত জানায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।
স্টেডিয়ামের বাইরের ইনডোর দিয়ে মাঠে প্রবেশ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর শের-ই-বাংলার ঘাস মাড়িয়ে সাকিব ঢুকেন জাতীয় দলের ড্রেসিংরুমে।
এরপর ফিজিও জুলিয়ান কেলাফতেকে নিয়ে সাকিবের ঠিকানা জিম। সেখানে ঘণ্টা খানেক সময় কাটান সাকিব। এরপর ইনডোরে রানিং করতে দেখা যায় তাকে।
খুলনা গেজেট/এএমআর