তাবিশ খানের বয়স এখন ৩৬ বছর। এই বয়সে বেশির ভাগ ক্রিকেটারই চলে যান অবসরে। যারা খেলা চালান, তাদের ভাবনায়ও থাকে অবসর। অথচ এই বয়সেই কি না জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে জাতীয় দলে অভিষেক হলো পাকিস্তানি পেসারের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্রই অভিষেক হলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক দিন থেকেই পরীক্ষিত পারফরমার তাবিশ।
১৯৮৪ সালে করাচিতে জন্ম নেওয়া এই পেসার প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন ১৩৭টি। যেখানে ওভার প্রতি ৩.১৫ রান দিয়ে ২৪.২৯ গড়ে ৫৯৮ উইকেট নিয়েছেন তাবিশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ম্যাচেই তার সামনে সুযোগ থাকছে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করার।
লিস্ট এ তেও ৫৮ ম্যাচে ৭৩ উইকেট নিয়েছেন তাবিশ। আর ক্রিকেটের সবচেয়ে সংক্ষিপ্ততম সংস্করণ টি-টোয়েন্টিতে ৪৩ ম্যাচে তার উইকেট সংখ্যা ৪২টি। ২০০২-০৩ মৌসুমে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাবিশের। এর প্রায় দুই দশক পর জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ালেন তিনি।
অবশ্য তবুও সবচেয়ে বেশি বয়সে পাকিস্তানের জাতীয় দলের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলার রেকর্ডটি নিজের করে নিতে পারেননি তাবিশ। লাহোরে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তানের হয়ে ৪৭ বছর ২৮৪ দিন বয়সে অভিষেক হয়েছিল মিরান বক্সের।১৯৫৪-৫৫ মৌসুমে অভিষেক হয়েছিল তার। সেটিই এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বয়সে পাকিস্তান জাতীয় দলে অভিষেকের রেকর্ড।
জিম্বাবুয়ের মাটিতে তাদের বিপক্ষে সিরিজে ইতোমধ্যে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে পাকিস্তান। প্রথম টেস্টে তারা স্বাগতিকদের হারিয়েছে ইনিংস ও ১১৬ রানের বড় ব্যবধানে। দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম।
পাকিস্তান একাদশ
ইমরান বাট, আবিদ আলি, আজহার আলি, বাবর আজম (অধিনায়ক), ফাওয়াদ আলম, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), হাসান আলি, নওমান আলি, সাজিদ খান, শাহীন শাহ আফ্রিদি, তাবিশ খান।
জিম্বাবুয়ে একাদশ
কেভিন কাসুজা, তারিসাই মুসাকান্দা, রেগিস চাকাভা (উইকেটরক্ষক), ব্রেন্ডন টেলর (অধিনায়ক), মিলটন শাম্বা, রয় কায়া, তেন্দাই চিসুরু, লুক জঙ্গি, ডোনাল্ড তিরিপানো, ব্লেসিং মুজারবানি, রিচার্ড এনগারাভা।
খুলনা গেজেট/কেএম