আর্জেন্টিনার মহীরুহ লিওনেল মেসি আজ ৩৪ পূর্ণ করে পা দিয়েছেন ৩৫ বছরে। ২৪ জুন, ১৯৮৭। সেলিয়া মারিয়া কুচিত্তিনি আর হোর্হে মেসির ঘর আলো করে জন্ম নিল এক ফুটফুটে ছেলে। মা আর বাবার নামের সঙ্গে মিলিয়ে নাম রাখা হলো লিওনেল আন্দ্রেস মেসি কুচিত্তিনি। যে বয়সে হাঁটতে শেখা সেই বয়সেই লাতিন বাচ্চাদের পায়ে শোভা পায় ফুটবল। মেসির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো না।
তবে যেটা তাকে আর সব বাচ্চা থেকে তাকে আলাদা করে রাখত তা হচ্ছে তার বলের দখল। সেই বয়সেই তার কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়া দুরূহ কাজ ছিল।
এমন প্রতিভাকে লুফেই নিয়েছিল নিওয়েলস ওল্ড বয়েজ। ক্লাবের বয়সভিত্তিক দলে সে বয়সেই রীতিমতো তারকা বনে গিয়েছিলেন মেসি। তবে বাধ সাধল ‘গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি সিন্ড্রোম’, যা হলে বাচ্চার দেহের বৃদ্ধি থমকে যায়। বিশাল অর্থ প্রয়োজন ছিল তার চিকিৎসায়, বাবা হোর্হে পড়লেন মহাবিপদে। সেই বিপদ থেকে তাদের উদ্ধার করল বার্সেলোনা।
একদিন বিকেলে রোজারিওর মাঠে প্রতিপক্ষকে ড্রিবল, গতি দিয়ে ছিটকে দিচ্ছিলেন; তাই দেখে যেন বার্সা স্কাউটদের চোখ সরে না। সেদিনই একটা পেপার ন্যাপকিনে চুক্তি সাক্ষর হলো মেসির। কিছুদিন পর পাড়ি জমালেন বার্সায়।
হলো চিকিৎসা। সেরে উঠলেন। এরপর বার্সার যুবদল হয়ে মূল দলেও এলেন। দলকে সম্ভাব্য সব জেতালেন, নিজেও জিতলেন রেকর্ড ছয়টা ব্যালন ডি’অর, ছয়টা ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শ্যুসহ অগুণতি ব্যক্তিগত শিরোপা।
কিন্তু একটা জায়গাতেই রয়ে গেল আফসোস। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে যে কিছুই জেতা হয়নি তার। ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ২০১৯ কোপা আমেরিকা, আলবিসেলেস্তেদের হয়ে নয়টা টুর্নামেন্ট খেলে ফেললেও একটাতেও জিততে, জেতাতে পারেননি মেসি। আগের নয় বার হয়নি, জীবনের ৩৫তম বসন্তে এসে, দশম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় বসন্ত আসবে তো তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে?