আগামী ৩০ দিনের মধ্যে র্যাগ ডে’র নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বুলিং, নগ্নতা ও অপসংস্কৃতি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার(১৭ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগ ডে’র নামে ডিজে পার্টি, বুলিং, অশ্লীলতা ও নগ্নতা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। গত ৭ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন।
রিট আবেদনে র্যাগ ডে’র নামে অশ্লীলতা বন্ধে নির্দেশনার চাওয়ার পাশাপাশি দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজে পার্টি, বুলিং অপসংস্কৃতি ও অশ্লীলতা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে রুল জারির আরজি জানানো হয়।
রিট আবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি র্যাগ ডে’র নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ধরনের কুরুচিপূর্ণ, অশ্লীল ও ডিজে পার্টির স্থির চিত্র ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। যেখানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক জীবন মান ও সুকুমার বৃত্তি সৃজনের কারিগর হওয়ার কথা সেখানে আজ সেই শিক্ষা প্রশাসকদের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং তাদের উপস্থিতিতে চরম নৈতিক অবক্ষয়মূলক কার্যকলাপের মাধ্যমে কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা নিজের অজান্তে নৈতিক অধঃপতনে নিমজ্জিত হচ্ছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, যেহেতু দেশের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগ শিশু-কিশোর ও তরুণ এবং দেশের আগামী ভবিষ্যৎ, সেহেতু আমাদের আগামী প্রজন্মকে এ ধরনের অপসংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষার জন্য র্যাগ ডে’র নামে অশ্লীলতা, ডিজে পার্টি ও নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয়মূলক এসব কার্যক্রম সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বন্ধ করা প্রয়োজন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিব, বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, পুলিশের আইজি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালককে রিটে বিবাদী করা হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ কামরুল হাসান।