চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই সময়ে বোলাররা উইকেট থেকে বাড়তি কোনো সুবিধা পাননি। হাসান মাহমুদ-মেহেদি মিরাজদের বিপক্ষে ‘ওয়ানডে স্টাইলে’ ব্যাটিং করেছে প্রোটিয়ারা। অথচ একই উইকেটে দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে ব্যাট করতে নেমে তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় টাইগার টপ অর্ডার। আজ সকালেও একই দশা টাইগার ব্যাটারদের।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮১ রান করেছে বাংলাদেশ। এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে ৪৯৪ রানে পিছিয়ে তারা।
৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে আজ তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। গতকাল ঠিক যেখানে শেষ করেছিল স্বাগতিকরা, আজ ঠিক সেখান থেকেই শুরু করেছে। দিন বদলালেও বাংলাদেশের পারফরম্যান্সে বদল আসেনি। আজ আর ১০ রান যোগ করতেই আরো চার ব্যাটারকে হারিয়েছে তারা। সবমিলিয়ে দলীয় ফিফটির আগেই সাজঘরে ফিরেছেন ৮ ব্যাটার।
গতকালের দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক আজ দিনের শুরু করেন। ব্যাট হাতে অফফর্মে থাকা বাংলাদেশ ব্যাটার সকালে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না। কাগিসো রাবাদার বাইরে বেরিয়ে যাওয়া বলে খোঁচা দিয়ে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। তিনি ফিরেছেন ৯ রানে।
অভিজ্ঞ মুশফিক উইকেটে এলেন আর গেলেন। মাঝে টিকতে পেরেছেন কেবল ২ বল। ড্যান প্যাটেরসনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মুশফিক ডাক খেয়ে ফিরলে উইকেটে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ইনফর্ম এই ব্যাটার ৩ বল খেলে ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
মিরাজ ফেরার এক বল পরই মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকেও ফিরিয়েছেন রাবাদ। অভিষেক ইনিংসে সিলভার ডাক খেয়েছেন তিনি। তাতে ৪ উইকেটে ৪৬ থেকে ২ রান যোগ করতেই আরো ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। অঙ্কনকে আউট করে ইনিংসে ৫ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন রাবাদা।
এই টেস্টে ফলোঅন এড়াতে হলে বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে অন্তত ৩৭৫ রান করতে হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম