প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ডা: মুনসুর আলীর নেতৃত্বে তেরখাদায় মুক্তিযুদ্ধের সূচনা হয়। তৎকালীন পুলিশ সুপার আব্দুল রকিব খন্দকার-এর কাছ থেকে ৭০টি রাইফেল ও ৪০ হাজার রাউন্ড গুলি পান তেরখাদা থানা সংগ্রাম কমিটি। তেরখাদা থানার ওসি নিরঞ্জন সেন, তহসিলদার ক্যাপ্টেন ফোহাম উদ্দিন ও বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ শুরু হয়।
মূলতঃ সংগ্রাম কমিটির পরামর্শে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন ফোহাম উদ্দিন। এখানে ২ আগস্ট ইখুড়ী কাটেংগা ফজলুল হক ইনস্টিটিউটের রাজাকার ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণ করেন। ২৫ আগস্ট আরেক দফা যুদ্ধ হয়। শেষ দফা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধারা কাটেংগা হাইস্কুল ক্যাম্প দখল এবং স্বাধীনতার পতাকা উড়াতে সক্ষম হন।
মুক্তিবাহিনী তেরখাদা রাজাকার ঘাটিতে সর্বশেষ আক্রমন করে ২ ডিসেম্বর সাদা পতাকা তুলে রাজাকাররা আত্মসমর্পণ করলে তাদের আটক করে স্কুলের একটি কক্ষে রাখা হয়। দেশ স্বাধীনের পরে খুলনা জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। শত্রুমুক্ত তেরখাদায় ২ ডিসেম্বর স্বাধীনতার পতাকা ওড়ে।
তেরখাদার উল্লেখযোগ্য মুক্তিযোদ্ধারা হচ্ছেন, ক্যাপ্টেন ফোহাম উদ্দিন, কাটেংগার নুরুল হক মোল্লা, এমএ দাউদ রতন, আব্দুল ওহাব মোল্লা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিরঞ্জন সেন, ইখড়ীর বোরহান উদ্দিন, তৈয়ব মোল্লা, উকিল উদ্দিন, আমির সরদার, জহুরুল হক মাস্টার, বারাসাতের সোহরাব হোসেন, আনন্দনগরের শহিদুল ইসলাম, শেখপুড়ার মোঃ ইউসুফ আলী, মোকামপুরের শাহাদাত হোসেন।
(সাবেক সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা স.ম. বাবর আলী রচিত স্বাধীনতার দূর্জয় অভিযান)।