খুলনার রূপসা উপজেলায় প্রবল বর্ষণের কারণে পুকুর পাড়ের গাছসহ প্রায় ২৫ ফুট পাকা রাস্তা ধসে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানায়, প্রবল বর্ষণের কারণে গত ১০ আগস্ট সন্ধ্যায় ৫নং ঘাটভোগ ইউনিয়নের ধোপাখোলায় শ্যামলের দোকানের পাশে শিব বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পুকুরে প্রায় ২৫ ফুট পাকা রাস্তা ধসে পড়েছে। আরও প্রায় ১৫/২০ ফুট পাকা রাস্তায় ফাটল ধরেছে। একটি নারিকেল গাছসহ আরও কিছু গাছ নিয়ে পুকুরের পাড় ভেঙে ধসে পড়ে পাঁকা সড়কের প্রায় অর্ধেক অংশ। এ ঘটনার পর থেকে সড়কটি দিয়ে হালকা যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয়রা লাল নিশানা দিয়ে ঘিরে রেখেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার কোটি টাকা খরচ করে রাস্তা তৈরি করে। কিছু দিন যেতে না যেতেই ভাঙন ধরে। অল্প অল্প করে ভাঙতে ভাঙতে এক সময় পুরো রাস্তা বিলীন হয়ে যায় পুকুরে। এতে পথচারীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পুকুরধারে রাস্তা ভাঙনের জন্য কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয় না। ফলে অবাধে গড়ে ওঠা পাড়বিহীন পুকুরগুলোর কারণে একদিকে জনদুর্ভোগ বাড়ে, অন্যদিকে সরকারের অপচয় হয় কোটি কোটি টাকা। এই রাস্তাটির পাড় বাঁধা প্রয়োজন।
পুকুরের মালিক সাধন বিশ্বাস জানায়, কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণে পুকুরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাড়ে থাকা গাছের গোড়ার মাটিসহ ওই অংশ দূর্বল হয়ে যায়। ফলে গাছগুলোর গোড়া উপড়ে পুকুরের মধ্যে ধ্সে পড়ে। এতে করে পাকা সড়কটির প্রায় ২৫ ফুট অংশ পুকুরের মধ্যে ভেঙে পড়েছে। প্রায় ২০ ফুট পাকা রাস্তা ফাটল ধরেছে। দূর্ঘটনা এড়াতে সড়কটির ভাঙনের অংশে লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম ফকির জানান, খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি এলজিইডি’র নির্মাণাধীন ধোপাখোলা বিশ্বাস বাড়ির সামনে পাকা সড়কটির প্রায় অর্ধেক অংশ পুকুরের মধ্যে ধসে পড়েছে। এ ব্যাপারে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন জমা দিয়েছি। ভাঙনের ফলে বর্তমানে এই সড়ক দিয়ে ৩/৪ চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তবে মোটরসাইকেল-সাইকেল ও পায়ে হেটে চলাচল করা যাচ্ছে। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙন প্রতিরোধ ব্যবস্থাসহ পুকুরের পাড় বেঁধে সড়ক সংস্কার না করা হলে সড়কটির যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, এই সড়ক দিয়ে ডোবা, গোয়াড়া, ধোপাখোলাসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ চলাচল করে। সড়কটির রক্ষণাবেক্ষণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
ঘাটভোগ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান মিজান জানান, ধোপাখোলা রাস্তা ধসে পড়ার বিষয়টি জেনেছি। উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি, দ্রুত সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এলজিইডির রূপসা উপজেলা প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান খুলনা গেজেটকে বলেন, রাস্তাটি ভাঙনের পর আমাদেরকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জরুরী ভিত্তিতে রাস্তাটির সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
রুপসা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কোহিনুর জাহান জানান, বিষয়টি জেনেছি, রাস্তাটি সংস্কারের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ বিএম শহিদ