খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ পৌষ, ১৪৩১ | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগামী বিজয় দিবসের আগে জুলাই গণহত্যার বিচার সম্পন্ন করা হবে : আসিফ নজরুল
  সচিবালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার সীমিত : প্রেস উইং
  কুড়িগ্রামে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, যুবদল নেতা নিহত

২১ আগস্ট হামলার পর ৪১টি তাজা গ্রেনেড উদ্ধার হয়েছিল সাতক্ষীরায়

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

আজ ভয়াল ২১ আগস্ট। ২০০৪ সালের এই দিনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিন্যুতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলাকালে ব্যবহৃত গ্রেনেডের উদ্বৃত্ত ৪১টি তাজা আর্জেস গ্রেনেড ঘটনার চার বছর পর উদ্ধার হয়েছিল সাতক্ষীরায়। দেবহাটা উপজেলার শিমুলবাড়িয়া গ্রামের জঙ্গি নজরুল ঘরামি’র বাড়ীর পাশে একটি পুকুর পাড় থেকে এই গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল র‌্যাব।

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে শেখ হাসিনাকে হত্যার লক্ষ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিন্যুতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামালা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। এঘটনার চার বছর পর ২০০৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার দেবহাটার শিমুলিয়া গ্রামের হুজি জঙ্গি নজরুল ঘরামির বাড়ির পাশে একটি পুকুর পাড় থেকে ৪১ টি তাজা আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার করে র‌্যাব। এই গ্রেনেড উদ্ধারের একদিন আগে গাজীপুর জেলার মেম্বর বাড়ি থেকে গ্রেফতার হন নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার আমডাঙ্গা গ্রামের হুজি জঙ্গি মুফতি মঈনুদ্দিন ওরফে আবু মাসুম ওরফে আবু জান্দাল। জঙ্গি জান্দালের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী র‌্যাব তাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সাতক্ষীরার শিমুলবাড়িয়ায় নজরুল ঘরামির বাড়িতে নিয়ে আসে। দুই জনকে মুখোমুখি করার এক পর্যায়ে আবু জান্দাল ও নজরুল আইনশৃংখলা বাহিনীকে গ্রেনেডের লুক্কায়িত স্থান দেখিয়ে দেয়। র‌্যাব তাদের উপস্থিতিতে নজরুলের পুকুর পাড়ে একটি গর্তে পলিথিনে মোড়ানো এয়ারটাইট অবস্থায় রাখা ৪১ টি তাজা আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার করে।

গ্রেফতারকৃত জান্দাল ও নজরুল র‌্যাবকে জানিয়েছিল, ২১ আগস্টে ঢাকায় ব্যবহারের কিছুদিন পর টাঙ্গাইলের মুফতি তাজউদ্দিন তাদের কাছে গ্রেনেড গুলি দিয়েছিল নিরাপদে রেখে দেয়ার জন্য। নজরুলের শ্যালক জামালউদ্দিনের সাথে তেজগাঁও পলিটেকনিকে পড়াকালীন আবু জান্দালের ঘনিষ্ঠতার সৃষ্টি হয়। আবু জান্দাল এই সুযোগ নিয়ে জামালউদ্দিনের মাধ্যমে তার বোন জামাই নজরুল ঘরামির দায়িত্বে রেখে দেয় এই গ্রেনেড।
র‌্যাব ও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে নজরুল জানিয়েছিল গ্রেনেড গুলি ভারতের একটি গ্রুপের কাছে পরে বিক্রির কথা ছিল । ক্রেতাও নির্ধারিত হয়েছিল। কিন্তু ভারত থেকে আসার পথে ওই ক্রেতা বিএসএফএর হাতে ধরা পড়ায় গ্রেনেডগুলি আর বিক্রি করা যায়নি। এদিকে ৪১টি আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার সংক্রান্ত মামলায় সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল আদালত ২০০৮ সালের ১৫ জুন আবু জান্দাল ও নজরুল ঘরামি প্রত্যেককে ২০ বছর করে কারাদন্ড দেন। তারা এখনও কারাগারে সেই দন্ড ভোগ করছে।

খুলনা গেজেট/এআইএন




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!