খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

গেজেট ডেস্ক

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ইকবাল হোসেনকে সোমবার রাতে দিয়াবাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। ওই হামলার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। মঙ্গলবার রাজধানীর দিয়াবাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন বাহিনীটির মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে র‌্যাব ডিজি জানান, জঙ্গি ইকবালের বাবা আব্দুল মজিদ মোল্লা। তার বাড়ি ঝিনাইদহে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস। স্কুলে অধ্যয়নরত অবস্থায় সে ছাত্রদলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিল।

তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্ট ইকবাল নিজ হাতে মঞ্চের উদ্দেশ্য গ্ৰেনেড হামলা করেছিল। ২০০৩ সালে মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সান্নিধ্যে এসে জঙ্গি প্রশিক্ষণ নেয়। মুফতি হান্নানের নির্দেশেই হামলায় অংশ নেয়। হামলার পর ২০০৮ সালে সে মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যায়। সম্প্রতি দেশে ফিরে ইকবাল নতুন করে আবার জঙ্গিদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন শুরু করে।

গত ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট দেশে বীভৎস রাজনৈতিক হত্যাযজ্ঞের ঘটনা ঘটে। এ দিনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দুর্নীতিবিরোধী’ সমাবেশে মুহুর্মুহু গ্রেনেড হামলায় হয়।

তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত এ হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী ও মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। শুধু গ্রেনেড হামলাই নয়, সেদিন তাদের প্রধান টার্গেটে থাকা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার গাড়ি লক্ষ্য করেও চালানো হয় ছয় রাউন্ড গুলি। শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন। তার শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সেদিনের গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের পেছনে ছিলেন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, দেশের একাধিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তাসহ কয়েকজন শীর্ষ জঙ্গি।

২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। হত্যা মামলায় ১৯ জনকে ফাঁসির দণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলায় ১৯ জনকে ফাঁসি এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ৩৮ জনকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের অন্য ধারায় ২০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুই মামলায় আলাদাভাবে সাজা দেওয়া হলেও তা একযোগে কার্যকর হবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!