খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ পৌষ, ১৪৩১ | ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনা-ঢাকা রুটে নতুন ট্রেন ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’ চলাচল শুরু

২০ লাখ টাকায় বাঁচতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সোহেল

মোস্তাক আহম্মেদ, হরিণাকুন্ডু

কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী সোহেল এখন মৃত্যু পথযাত্রী। তাঁর দুটি কিডনিই সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় ২০১৬ সালে তাঁর শরীরে এই কিডনি জটিলতা ধরা পড়ে। পরে ধীরে ধীরে তাঁর দুটি কিডনিই পুরোপুরি অকেজো হয়ে পড়ে। ছেলেকে বাঁচাতে সোহেলের দরিদ্র পিতা সহায় সম্বল বিক্রি করে দেশ-বিদেশে চিকিৎসাও করিয়েছেন। ছেলের চিকিৎসা ব্যায় বহন করতে গিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে সোহেলের দরিদ্র পিতার।

২০১১ সালে এসএসসিতে জিপিএ-৫ ও ২০১৩ সালে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পেয়ে ২০১৩-১৪ সেশনে ইসলামী বিশ^বিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হয় মেধাবী শিক্ষার্থী সোহেল। সেখানে অধ্যায়নরত অবস্থায় ২০১৬ সালে তার দেহে জটিল কিডনি রোগ ধরা পড়ে। ফলে মেধাবী শিক্ষার্থী সোহেলের জীবনে নেমে আশে অমানিশা।

আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব আর সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তায় সোহেলের চিকিৎসা চললেও জীবন বাঁচাতে দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপনের পরামর্শ চিকিৎসকদের। পরিচয় গোপন রেখে কিডনি দিতে এগিয়ে এসেছেন ঢাকার এক মানবিক ডোনার। তবে এই কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য প্রয়োজন প্রায় ২০ লাখ টাকা। সোহেলর দরিদ্র পিতার পক্ষে ছেলের চিকিৎসায় এই বিশাল ব্যয় বহন অসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই সমাজের বিত্তবান মানুষদের সহযোগিতা চেয়েছেন সোহেল ও তাঁর পরিবার।‘ আমি বাঁচতে চাই’ শিরোনামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোষ্টে সমাজের হৃদয়বান মানুষের আর্থিক সহযোগিতা চেয়েছেন সোহেল। সে উপজেলার গোপিনাথপুর গ্রামের জমির উদ্দিন মালিতার ছেলে।

সোহেলের বাবা জমির উদ্দিন মালিতা বলেন, আমি মাছ ধরে সংসার চালায়। ছেলেকে অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছিলাম। অনেক স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শিখে ছেলেটা অনেক বড় হবে। পরিবারের অভাব ঘুচিয়ে সবার মুখে হাসি ফোটাবে। সমাজের উপকার করবে। কিন্ত আমার সব আশা শেষ হয়ে গেল। ছেলের চিকিৎসার জন্য ভিটেমাটি বিক্রি করে এখন অসহায় হয়ে পড়েছি। ছেলেকে বাঁচিয়ে তুলতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

সোহেল বলেন, অনেক স্বপ্ন ছিল লেখাপড়া শিখে একজন সরকারী কর্মকর্তা হয়ে নিজের পরিবারের মুখে হাসি ফোটাবো। সমাজ ও রাষ্ট্রের সেবাই নিজেকে নিয়োজিত করবো। কিন্তু এই জটিলরোগে এভাবে জীবনে অমানিশা নেমে আসবে তা কখনও ভাবতে পারিনি। আমি বাঁচতে চাই, সমাজে অনেক হৃদয়বান মানুষ আছেন যাদের একটু সহযোগিতায় আমি সুস্থ্য হয়ে আবার প্রিয় ক্যাম্পাসে ফিরতে চায়। সোহেল আরও জানায়, ঢাকার এক মানবিক ব্যক্তি একটি কিডনি দিতে এগিয়ে এসেছেন। আগামী ফেব্রয়ারি মাসে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে তাঁর দেহে ওই কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে। এজন্য প্রয়োজন প্রায় ২০ লাখ টাকা। কিন্ত তাঁর অসহায় দরিদ্র পিতার পক্ষে এই বিশাল চিকিৎসাভার বহন করা সম্ভব নয়। তিনি সকলের সহযোগিতা চান।

সোহেলকে সহযোগিতা করতে পারেন, মোবাইল নং-০১৭৪৩৭০০৫৪৭ (বিকাশ), ০১৭৪৩-৭০০৫৪৭৮ (রকেট), ডাচ্-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং-৭০১৭০১৫৪৮৫৪৯৫।

 

খুলনা গেজেট/এমএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!