কুশল মেন্ডিসের একমাত্র উইকেটটা বাদ দিলে আগের সেশনে আধিপত্য ছিল শ্রীলঙ্কারই। তাতে বাংলাদেশ সেশনটা শেষ করেছিল কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে। প্রথম দিনের বিকেলের সেশনের শুরুর দিকেই ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট তুলে নিয়ে সে অস্বস্তিটা দূর করলেন সাকিব আল হাসান।
আগের ওভারেই তাইজুল ইসলামের বলে স্লিপে ক্যাচ উঠেছিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের। তবে স্লিপে সে বলটা তালুবন্দি করা হয়নি বাংলাদেশের। এর ঠিক পরের ওভারে শরিফুল ইসলামকে সরিয়ে আক্রমণে সাকিবকে আনেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটা দিতে সাকিব সময় নিলেন মাত্র দুই বল।
প্রথম বলটা মিডল স্টাম্পে লেন্থে করেছিলেন সাকিব, সেই বলটা মিড উইকেটে পাঠিয়ে দুই রান তুলে নিয়েছিলেন ধনাঞ্জয়া। পরের বলটাও করলেন একই লাইনে, একই লেন্থে, তবে গতির হেরফের হলো এবার। তাতেই খানিকটা দ্বিধা নিয়ে বলটা ডিফেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন ধনাঞ্জয়া।
তবে সে সিদ্ধান্ত তার সফল হয়নি। ব্যাটে আলতো ছোঁয়া নিয়ে প্যাডে লেগে স্লিপে ক্যাচ যায়, এবার সেটা তালুবন্দি করতে ভুল করেননি মাহমুদুল হাসান। শুরুতে অবশ্য আম্পায়ার সাড়া দেননি তাতে। ফলে রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। সেখানে দেখা যায় প্যাডে লাগার আগে ব্যাট ছুঁয়েছে বল। তাতেই বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেট আর স্বস্তি এনে দেন সাকিব।