নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবক মো. রাশেদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শনিবার (৫ মার্চ) বিকেলে নিহত যুবককের বড় ভগ্নিপতি মো.সালা উদ্দিন বাদী হয়ে একমাত্র আসামি মো.তাজুল ইসলাম ওরফে তজল হকের নাম উল্লেখ করে চর জব্বার থানায় এ মামলা করেন। মামলার আরো অজ্ঞাত তিনজনের আসামি নাম উল্লেখ করেছেন।
তবে এ ঘটনার ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও পুলিশ হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেন চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) মো.জিয়াউল হক। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার ৮ নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শ কলোনীতে শ্যালক মো.রাসেদকে (১৯) পিটিয়ে হত্যা করে দুলাভাই। সেই একই এলাকার মৃত মো.সাহাব উদ্দিন ওরফে শাকুর ছেলে এবং পেশায় একজন জেলে ছিল।
ঘটনার পর থেকে আসামি তাজুল ইসলাম ওরফে তফজল পলাতক রয়েছেন। তাজুল ইসলাম তফজল একই এলাকার এনামুল হকের ছেলে।
মামলার বাদী নিহত রাশেদের ভগ্নিপতি সালা উদ্দিন জানান, মামলার আসামি রাশেদের খালাতো বোনের জামাই তাজুল ইসলামের সাথে পূর্বের ইটভাটার ১ হাজার টাকা পাওনা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। পরে এর জের ধরে তাজুল ইসলামের সাথে রাশেদের ঝগড়া বেঁধে যায়। এক পর্যায়ে তাজল রাশেদকে মারধর করে। এতে রাশেদ গুরুত্বর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে গত শুক্রবার রাতে উপজেলার মোহাম্মদপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক জানান, নিহত ভগ্নিপতি বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার একমাত্র আসামি তাজুল ইসলাম ঘটনার পর থেকেই পলাতক। তাঁকে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খুলনা গেজ ট/এএ