আগের দুই ম্যাচে ব্যাটসম্যানদের দাপটে ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ দল। সিরিজের প্রথম ম্যাচে আফিফ হোসেন আর মেহেদী হাসান মিরাজের জুটির কল্যাণে ৪ উইকেটে জেতে টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৮ রানের জয় এসেছে লিটন দাস আর মুশফিকুর রহিমের জুটির কল্যাণে। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে আজ বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি স্বাগতিকরা। এর প্রভাব পড়েছে স্কোরবোর্ডে।
আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো লিটন দাস এ ম্যাচেও ছিলেন অনবদ্য। তবে অতৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৮৬ রানে আউট হয়ে আক্ষেপে পুড়েছেন লিটন। বাকিরা তেমন সুবিধা করতে না পারায় ১৯২ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ দলের ইনিংস। ৩ ম্যাচ সিরিজে আগের দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খোয়ানো আফগানিস্তানের ধবলধোলাই এড়ানোর জন্য প্রয়োজন ১৯৩ রান। বাংলাদেশ চাইবে তার আগে গুটিয়ে দিয়ে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগের পূর্ণ ৩০ পয়েন্ট তুলে নিতে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ দল। বিপদ হতে পারতো ইনিংসের প্রথম বলেই। ফজল হক ফারুকীর করা বলটি খেলতে গিয়ে লাইন হারান তামিম। এ যাত্রায় লেগ বিফোর থেকে বেঁচে যান তিনি। পরে ব্যাট হাতে লিটন ভালো শুরু এনে দিলেও তামিম অস্বস্তিতে ভোগেন। ইনিংসের ১১তম ওভারে তাদের উদ্বোধনী জুটি থামে ৪৩ রানে।
সিরিজের আগের দুই ম্যাচে ফারুকির বলে আউট হওয়া তামিম এদিন লেগ সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাট-প্যাডের মধ্যে ফাঁক থাকায় বল সোজা আঘাত হানে স্টাম্পে। ১ চারে ২৫ বলে ১১ রান করেন তামিম।
তিনে নেমে ভালো শুরু পেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে লিটনের সঙ্গে জুটিটা জমাতে পারেননি। তাদের দ্বিতীয় উইকেট জুটি থেকে আসে ৬১ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের শর্ট বল থার্ড ম্যানে পাঠাতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু বল যায় স্টাম্পে। ভীষণ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব। করেন ৩৬ বলে তিন চারে ৩০ রান।
তার আগেই অবশ্য ফিফটির দেখা পান লিটন। ইনিংসের ২০তম ওভারে আজমতুল্লাহর বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন এই ডানহাতি ওপেনার। ৬৩ বলে পাওয়া হাফ সেঞ্চুরির ইনিংসে চারের মার ছিল ৫টি। সে ফিফটি আজ অবশ্য শতকে রূপ দিতে পারেননি লিটন। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো টানা দুই ইনিংসে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়েও পারলেন না। নবির বলে নিজের পঞ্চাশতম ওয়ানডেতে থামেন ১১৩ বলে ৭ চারে ৮৬ রানে।
লিটনের আউটের আগে আর সাকিবের আউটের পর মুশফিকুর রহিমকে হারায় বাংলাদেশ দল। রশিদ খানের আউটসাইড এজের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মুশফিক। ১৫ বলে ৭ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। আগের ম্যাচে খেলেছিলেন ৮৬ রানের দারুণ এই ইনিংস। এবার ব্যর্থ তিনি। সুবিধা করতে পারেননি প্রথম ম্যাচের নায়ক আফিফ আর মিরাজও। আফিফ ৫ এবং মিরাজ ফেরেন ৬ রান করে।
১৭৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরাম সেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ দল। মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ শেষদিকে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৫৩ বলে ২৯ রানের অপরাজিত একটি ইনিংস খেললেও দলীয় রান দুইশ পার করতে পারেননি সতীর্থদের ব্যর্থতায়। ইনিংসের ৪৭তম ওভারে ১৯২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ দল।