রামপালের দিগরাজে অবস্থিত কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ১৬ ডিসেম্বর শুরু করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। মহামারি করোনার কারণে বিদেশি শ্রমিকরা কর্মস্থল ত্যাগ করায় যথাসময়ে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে আসতে পারে নি। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানি লিঃ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
দিগরাজ ও সাপমারী মৌজায় চারশ’ ৩০ একর জমির ওপর এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। বাকি ৪০ শতাংশ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য দু’টি অংশের সঞ্চালন লাইনের মধ্যে ৩৩ কেভির একটি অংশের কাজ শেষ হয়েছে। একশ’ ৩৫ কেভিএ ডিজেল জেনারেটর স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য খুলনা-মোংলা দুইশ’ ৩০ কেভি ডাবল সার্কিট লাইনের নির্মাণ কাজ চলছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলেছেন শুরু থেকে ৪১ মাসের মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা। করোনার কারণে তা পিছিয়ে গেল। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ উদ্যোগে এ প্রকল্প শেষ করতে ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার করপোরেশন যৌথ কোম্পানি গঠন করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
প্রকল্পের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হুসাইন এ প্রতিবেদককে জানান, কয়লা আমদানির জন্য চুক্তির কার্যক্রম চলছে। দু’এক মাসের মধ্যে এটি চূড়ান্ত হবে। বর ধরণের কোন অসুবিধা না হলে ১৬ ডিসেম্বর নাগাদ বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালুর পরিকল্পনা করছে সরকার।
মহামারি করোনার কারণে সীমান্ত বন্ধ থাকায় ভারত থেকে যন্ত্রাংশ ও প্রয়োজনীয় মালামাল আসা বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। এ কেন্দ্র কর্মরত ভারতীয় শ্রমিকদের রামপালে আনার জন্য জ্বালানী ও খণিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাকে চিঠি দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম