ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ১৪২ রানের জবাবে খেলতে নেমে শুরুতেই চমক দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেনিংয়ে নামানো হয়েছে সাকিব আল হাসানকে।
ক্যারিয়ারে এর আগে কখনও ইনিংসের সূচনা করতে দেখা যায়নি সাকিবকে। আজ ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে প্রথমবারের মতো এ কঠিন দায়িত্বটিই নিজের কাঁধে তুলে নিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
শুক্রবার শারজায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ক্যারিবীয়রা ভালো শুরু পায়নি। বাংলাদেশের বোলারদের দাপটে পাওয়ারপ্লেতে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা জড়ো করে মাত্র ২৯ রান। নতুন বলে বাংলাদেশকে জোড়া উইকেট এনে দেন শেখ মেহেদী হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান।
৯ বলে ৬ রান করে এভিন লুইস মুস্তাফিজের বলে এবং ১০ বলে মাত্র ৪ রান করে ক্রিস গেইল মেহেদীর শিকারে পরিণত হন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় উইকেট হারায় ৩২ রানে, ৭ম ওভারে। ক্রিজে এসে মারকুটে ব্যাটিংয়ের আভাস দিচ্ছিলেন শিমরন হেটমেয়ার। ওভারের তৃতীয় বলে মেহেদী নিজের বলে ক্যাচ ছাড়লেও পরের বলে সৌম্য তালুবন্দী করে ফেরান হেটমেয়ারকে।
চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটার আগে ক্যারিবীয় অধিনায়ক কাইরন পোলার্ড রিটায়ার্ড আউট হয়ে স্বেচ্ছায় মাঠ ছেড়ে যান, তার আগে ১৬ বলের মোকাবেলায় করেন ৮ রান। নতুন ব্যাটার হিসেবে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে ছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তবে অভিষিক্ত রস্টন চেজের শট তাসকিনের পায়ে লেগে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে স্ট্যাম্পে আঘাত করে, রাসেল তখন ক্রিজে বাইরে থাকায় রান আউট হন; দলীয় ৬২ রানে।
এরপর বাংলাদেশের বোলারদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান রস্টন চেজ ও নিকোলাস পুরান। চেজ সাবধানে ব্যাট করলেও পুরান চড়াও হন। সাকিব আল হাসান ও শেখ মেহেদীর দুই ওভারে হাঁকান দুটি করে ছক্কা। তবে ১৯তম ওভারে শরিফুল ইসলামের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে তালুবন্দী হন নাঈম শেখের হাতে। বিদায়ের আগে ২৩ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়ে করেন ৪০ রান। পরের বলে শরিফুল বোল্ড করেন চেজকে। অভিষেক ইনিংসে ৩৯ রান করা চেজ মোকাবেলা করেছেন ৪৬ বল, হাঁকিয়েছেন মাত্র দুটি চার।
বাংলাদেশ এদিন মোট তিনটি ক্যাচ হাতছাড়া করেছে, যার দুটিই ফসকেছে মেহেদীর হাত থেকে। স্লগ শরিফুলের বলে ক্যাচ ছাড়েন আফিফ হোসেন ধ্রুব।
বাংলাদেশের হয়ে শেষ ওভার বল করেন মুস্তাফিজুর রহমান। প্রথম বলে ডোয়াইন ব্রাভোকে (৩ বলে ১ রান) শিকার করলেন পরের দুই বলে তাকে ছক্কা হাঁকান জেসন হোল্ডার, যিনি শেষ বলে হাঁকিয়েছেন আরেকটি ছক্কা। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান জড়ো করে ক্যারিবীয়রা। ৫ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন হোল্ডার।
বাংলাদেশের পক্ষে শরিফুল, মেহেদী ও মুস্তাফিজ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। ৪ ওভারে মুস্তাফিজ খরচ করেছেন ৪৩ রান।