বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, “বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশে সুশাসন নেই। সরকার ক্ষমতা দখল করে মানুষকে পিষ্ট করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সাথে কেরোসিন, ডিজেল ও এলপি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি করেছে। জনগণের অভিমতের কোনো মূল্য দিচ্ছে না তারা। যখন যেভাবে পারছে গায়ের জোরে সেটাই করছে।”
ডিজেল, কেরোসিন, এলপি গ্যাস ও পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যেমূল্যের সীমাহীন উবর্ধগতির প্রতিবাদে দেড়মাস ব্যাপী সারাদেশে বিএনপি, অংগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভায় শনিবার দুপুর ১২টায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক সাংসদ মঞ্জু আরও বলেন, “গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়াকে জোর করে বন্দী করে রাখা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকেও মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। দেশে সমস্ত কিছু আওয়ামীকরণ করা হয়েছে। আজকে দেশে নির্বাচন বলতে কিছু নেই। নির্বাচন কমিশন একটা আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন জুলুম নির্যাতন চলছে। ৩৫ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা চলছে। তিনি সকলকে প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন ঐক্যের মাধ্যমে এই ফ্যাসিস্ট ও স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে হটিয়ে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন কায়েম করা হবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমির এজাজ খান, এড. বজলুর রহমান, এড. ফজলে হালিম লিটন, শেখ ইকবাল হোসেন, শাহজালাল বাবলু, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, মোল্যা খায়রুল ইসলাম, সিরাজুল হক নান্নু, আবু হোসেন বাবু, মো. মাহবুব কায়সার, আসাদুজ্জামান মুরাদ, মেহেদী হাসান দিপু, মাহবুজ্জামান কচি, ইকবাল হোসেন খোকন, নিজামউর রহমান লালু, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ হোসেন পরাগ, মুর্শিদুর রহমান লিটন, ওয়াহিদুজ্জামান রানা, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিলটন, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নিয়াজ আহমেদ তুহিন, মজিবর রহমান ফয়েজ, কাজী শফিকুল ইসলাম শফি, নাজমুস সাকিব পিন্টু, খায়রুল ইসলাম জনি, আবু সাইদ শেখ, শরিফুল ইসলাম বাবু, সরোয়ার হোসেন, গোলাম কিবরিয়া আশা, নাজির উদ্দিন নান্নু, হাফিজুর রহমান মনি, কাজী আব্দুল লতিফ, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, আফসার উদ্দিন মাস্টার, ইশহাক তালুকদার, শাহাবুদ্দিন মন্টু, আকরাম হোসেন খোকন, রবিউল ইসলাম রবি, ইমতিয়াজ আলম বাবু, আসলাম হোসেন, আশরাফ হোসেন, মোস্তফা কামাল, রিয়াজুর রহমান, মেহেদী হাসান সোহাগ, আব্দুল মান্নান খান, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, আনিচুর রহমান আরজু, সিরাজুল ইসলাম লিটন, জামাল উদ্দিন মোড়ল, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর হোসেন, লিটু পাটোয়ারী, কাজী ফজলুল কবির টিটো, শাহানাজ ইসলাম, শেখ আব্দুস সালাম, সামসুল বারী পান্না, তানভীর আজম রুম্মান, মনিরুজ্জামান লেলিন, সেলিম বড় মিয়া, বাবুল মুন্সি, শাকিল আহমেদ, শামীম আশরাফ, ডা. আব্দুল হালিম মোড়ল, সেলিম কাজী, মুন্সি আব্দুর রব, আশরাফ হোসেন, শফি খান, তসির খান, শাহারুজ্জামান মুকুল, মশিউর রহমান লিটন, নাসিমা পলি, রেহানা ইসলাম, সুজানা জলি প্রমুখ।
সভায় রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনে বাঁধা না দেয়া ও সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন না করার আহবান জানানো হয়। এছাড়া কোন ধরণের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে সরকার ও পুলিশ প্রশাসন দায়ী থাকবেন বলে হুশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়। পুলিশের অশোভন আচরণ করা থেকে বিরত থাকার আহবান জানানো হয়।
সভায় ১৫ নভেম্বর দুপুর ১২টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এছাড়া ১৬ থেকে ১৯ নভেম্বর থানা পর্যায়ে প্রচারপত্র বিলি, ১৭ নভেম্বর মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী, ২০ নভেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। খবর বিজ্ঞপ্তি।
খুলনা গেজেট/এএ