আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হতে পারে। নবম, দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরও এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছিল। সে হিসাবে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে এবারের মন্ত্রিপরিষদ গঠন হতে পারে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর।
মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয়েছিল আট দিন পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। আর মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয় সাত দিন পর ১২ জানুয়ারি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর।
মন্ত্রিপরিষদ গঠন করা হয় আট দিন পর ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি। আওয়ামী লীগ সরকার এবার জয়লাভ করেছে গত ৭ জানুয়ারি। গত তিনবারের মতো এবারও মন্ত্রিপরিষদ গঠন হলে তা ১৪ বা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হতে পারে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক যুগ্ম সচিব বলেন, গত তিনবারের মতোই এবারের কাজ চলছে। সে হিসাবে এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হতে পারে।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিদ্যুত্, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠিত হতে পারে। তিনি বলেন, এবারের নির্বাচনে কমিশন শক্ত অবস্থান নেওয়ায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রার্থীরা যে যেভাবে এলাকায় সময় দিয়েছেন ভোটাররা নির্বাচনে সেই প্রতিফলন ঘটিয়েছেন।
নতুন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে গতকাল গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকদের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন হয়ে গেছে, এখন গেজেট হবে। গেজেটের পর শপথ হবে। এরপর আমাদের সংসদীয় দলের বৈঠক করতে হবে। সেখানে সংসদীয় দলের নেতা কে হবেন, সেটা নির্বাচন করতে হবে। তখন সরকার গঠন করতে রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে হবে। সরকার গঠন হবে। এটাই সাংবিধানিক প্রক্রিয়া, তা অনুসরণ করতে চাচ্ছি।
মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, মন্ত্রিসভায় একজন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। যে সংসদ সদস্য সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের আস্থাভাজন বলে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতীয়মান হবেন, রাষ্ট্রপতি তাঁকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী যেভাবে নির্ধারণ করবেন, সেভাবে অন্যান্য মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী থাকবেন।