খুলনা, বাংলাদেশ | ১৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  জয়পুরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
  সেনা কর্মকর্তা লে. তানজিম হত্যা মামলার অন্যতম দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথ বাহিনী

১৪০ রানে থামলো বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক

সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রানে আটকে গেল বাংলাদেশ। স্যার ভিভিয়ান রিচার্ড স্টেডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৪০ রান।

সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। শুরুতেই নেই তানজিদ তামিমের উইকেট। রানের খাতা খোলার আগেই উইকেটের খাতায় সংখ্যা ১। এমন ধাক্কা সামলে বাংলাদেশকে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন লিটন-শান্ত জুটি। তাদের দুজনে ভর করে দলীয় ফিফটি রান পেরোয় বাংলাদেশ। মনে হচ্ছিল খারাপ সময় পেছনে ফেলে এই ম্যাচ দিয়েই রানে ফিরবেন দু’জনে। ফিরেছেনও হয়তো। তবে সেটা খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পেরেছে কি। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহটা যে তাদের কারণেই আটকে গেছে ১৪০ রানে। এই রান নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জেতা যে কঠিন তা তো সবারই জানা।

বাংলাদেশের সংগ্রহ বড় না হওয়ার পেছনে শান্তর চেয়ে বেশি দায় লিটন দাসের। শান্ত ৩৬ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ১১৩ স্ট্রাইক রেটে ৪১ রান করলেও লিটন ফিরেছেন ২৫ বলে ১৬ রান করে। যেখানে স্ট্রাইক রেট মোটে ৬৪। এত বেশি ডট বলের বোঝা ব্যাটিং দিয়ে বাকিদের পুষিয়ে দেওয়া কঠিন। সেটা পারেননি বাকিরা। বাংলাদেশ যেই লড়াই করার রসদটা পেয়েছে স্কোরবোর্ডে সেটা তাওহীদ হৃদয়ের কল্যাণে।

অ্যান্টিগার ব্যাটিং কন্ডিশনে এদিন এদিন একাদশে একটি পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। জাকের আলির জায়গায় একাদশে সুযোগ পান শেখ মাহেদী। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া তাদের একাদশে ফিরিয়েছে আগের ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়া প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজেলউডকে।

তবে ব্যাটিংয়ের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। মিচেল স্টার্কের করা ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ফিরে যান কোনো রান না করেই। এরপর অধিনায়ক শান্ত এসে লিটন দাসকে নিয়ে দলকে টানেন। বিপর্যয় কাটাতে শুরুতে ধীরগতিতে ব্যাট চালান দু’জনে। পাওয়ারপ্লেতে আর কোনো উইকেট না খরচ করে ৩৯ রান জমা করে বাংলাদেশ।

এরপর দলীয় ৫৮ রানে লিটন ফিরলে খানিক পর চমক হিসেবে নামা রিশাদ হোসেন ফিরেন ৪ বলে ২ রান করে। এরপর চাপ কাটাতে না পেরে শান্তও একই পথ ধরে। তাতে বিপদেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। সাকিবের ওপর ছিল বড় প্রত্যাশা। তবে এদিন দায়িত্ব নিতে পারেননি তিনি। ১০ বলে ৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেছেন উল্টো দলকে বিপদে ফেলে। এরপর হতাশ করেছেন মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মাহেদী। মাহমুদউল্লাহর ২ রানের পর গোল্ডেন ডাক মাহেদীর। উইকেটের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে ব্যাটারদের যাওয়া আসা দেখছিলেন হৃদয়। তবে হতাশ করেননি তিনি।

এই তরুণ এদিনও ব্যাট হাতে দায়িত্ব নিয়ে টেনে তুলেছেন বাংলাদেশকে। স্রোতের বিপরীতে দাঁড়িয়ে শাসন করেছেন অজি বোলারদের। ২৮ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারে ১৪২ স্ট্রাইক রেটে ৪০ রান করেন তিনি। তাতে বড় সংগ্রহ না হোক অন্তত চ্যালেঞ্জিং টার্গেট ছুড়ে দেওয়া গেছে অজিদের। বাংলাদেশের ইনিংস থেমেছে ৮ উইকেটে ১৪০ রানে। এখন দায়িত্বটা বোলারা নিতে পারলেই হয়। যদিও তাদের হাত ধরেই গ্রুপপর্ব পেরিয়ে সুপার এইটে এসেছে বাংলাদেশ। এবার না হয় আরও একবার সেটা করে দেখাবেন তারা। অজি বোলারদের মধ্যে ২৯ রান খরচায় ৩ উইকেট তুলেছেন কামিন্স। জাম্পার শিকার ২ উইকেট।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!