কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে মা, বাবা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। পরপর তিনজনের মৃত্যুতে তাদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
মৃত তিনজন হলেন, মিরপুরের ধুবাইল ইউনিয়নের গোবিন্দগুনিয়া গ্রামের লালন মল্লিক (৭০), তার স্ত্রী আনজেরা খাতুন (৬৫) এবং তাদের মেয়ে ও মক্কেল আলীর স্ত্রী আঙ্গুরী খাতুন (৪০)। এরই মধ্যে তিনজনের মরদেহ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, অসুস্থজনিত কারণে শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে বাড়িতে মারা যান লালন মল্লিকের স্ত্রী আনজেরা খাতুন। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে জানাজা শেষে তাকে গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ দিকে মায়ের মরদেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে আঙ্গুরী খাতুন। নিজ বাড়িতে গিয়ে একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে বেলা ১১টার দিকে মারা যান আঙ্গুরী খাতুন।
এদিকে বড় মেয়ে মিরপুর পৌরসভার নওয়াপাড়া এলাকায় স্বামীর বাড়িতে মারা গেছেন- এ খবর শুনে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান লালন মল্লিক।
এরপর দুপুর ২টার দিকে মিরপুর পৌরসভার নওয়াপাড়া কবরস্থানে আঙ্গুরী খাতুনকে দাফন করা হয়। বিকেল ৫টার দিকে গোবিন্দগুনিয়া কবরস্থানে দাফন করা লালন মল্লিককে।
ধুবাইল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য সাইফুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই মর্মান্তিক একটা ঘটনা। দীর্ঘদিন ধরে হার্টের অসুখে ভুগছিলেন আনজেরা খাতুন। শুক্রবার রাতে মারা যান তিনি। সকাল ৯টায় আমরা তাকে দাফন করি। বেলা ১১টায় জানতে পারি, তার মেয়ে আঙ্গুরী খাতুন মারা গেছেন। এর কিছুক্ষণ পর জানতে পারি যে স্ত্রী ও মেয়ের শোকে নিজ বাড়িতে মারা গেছেন লালন মল্লিক।
খুলনা গেজেট / এমএম