দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, নিরাপদ খাদ্য প্রবাহ, জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ রক্ষায় উপকূলীয় এলাকার গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু সে অনুযায়ী উপকূলকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না।
১৯৭০ সালে ১২ নভেম্বরের প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষের প্রাণহানী ঘটে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক দুর্যোগ হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাই এই দিনটিকে উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে ঘোষণা করতে হবে। একই সাথে আলাদা উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন, উপকূলে উঁচু ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সামনে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিম, সবুজ সংহতি, উপজেলা যুব স্বেচ্ছাসেবী সমন্বয় কমিটি ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব দাবি জানান।
বক্তারা আরো বলেন, উপকূলের মানুষের ন্যায্যতা নিশ্চিতে ১২ নভেম্বরকে উপকূল দিবস হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। কারণ দেশের তিনভাগের এক ভাগই উপকূল বেষ্টিত। প্রত্যক দুর্যোগেই উপকূলের মানুষ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা সবুজ সংহতির কুমুদ রঞ্জন, সুন্দরবন স্টুডেন্ট সলিডারিটি টিমের শ্যামনগর পৌরসভা শাখার সভাপতি গাজী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক তৃপ্তি বিশ্বাস, বারসিক এর সহযোগী আঞ্চলিক সমন্বয়কারী রামকৃষ্ণ জোয়ারদার, কোহিনুর ইসলাম, প্রতিমা চক্রবর্তী, বরসা গাইন প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম