খুলনার চিকিৎসক ডা. মন্দিরা মজুমদার আত্মহত্যায় প্ররোচণা মামলার প্রধান আসামি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন জামিন পেলেও হাসপাতালে তাঁর দেখা মেলে না।
গত ২৪ মে তিনি যোগদান করলেও আজ বুধবার তাকে তাঁর কক্ষে এমনকি হাসপাতালেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. রবিউল হাসান জানান, গত ৫ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত অসুস্থতার দরখাস্ত করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডা. সুহাসের ছুটি মঞ্জুর করেন। পরবর্তী ১২ মে থেকে ২৪ মে পর্যন্ত তিনি হাসপাতালে আসেননি। প্রকৃত কারণ জানতে চাইলে তিনি অসুস্থতার কথা বলেন। অসুস্থতা প্রমাণে যথাযথ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি ডা. সুহাস। তিনি জানান, এব্যাপারে ডা. সুহাসের কাছে সুর্নিদিষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
বিয়ের কথা বলে ডা. মন্দিরা মজুমদারের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলেন ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার। পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ডা. সুহাসের সাথে সম্পর্কের কথা পরিবারকে জানিয়ে গত ২৮ এপ্রিল নিজ ঘরের ফ্যানে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন ডা. মন্দিরা মজুমদার। ঘটনার পর থেকে পলাতক ডা. সুহাস।
এঘটনায় তাঁর পিতা বাদি হয়ে ডা. সুহাস ও তাঁর বোন সিথি মনি হালদারকে আসামি করে আত্মহত্যা প্ররোচণা মামলা করেন। পুলিশ সুহাসের বোন সিথি মনি হালদারকে গ্রেপ্তার করেছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই