রপ্তানিকারক থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত সব ব্যয়ভার বহন ও সম্ভাব্য মুনাফা যোগ করেও ১২৫ টাকা লিটারে ভোক্তাপর্যায়ে সয়াবিন তেল দেওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
আজ রোববার (৬ মার্চ) তার নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তেল আমদানির খরচের চিত্র তুলে ধরে তিনি এ কথা বলেন।
রাব্বানীর ফেসবুকের স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো-
বেশ কিছুদিন যাবত বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেখছি, আমদানিকারক ও মন্ত্রণালয় কর্তৃপক্ষ সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জন্য বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, জাহাজ ভাড়া বাড়ার কথা উল্লেখ করে দায় এড়াতে মরিয়া!’
জাস্ট কিউরিসিটি থেকে গতকাল পরিশোধিত সয়াবিন তেলের পাইকারি মূল্য যাচাই করতে ‘গ্লোবাল এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কমোডিটিতে’ সয়াবিন তেলের পাইকারি মূল্য যাচাই করতে মেইল করেছিলাম। মেইল এড্রেস: globalexportimportcommodity@gmail.com তাদের রিপ্লাই থেকে জানলাম- যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি মেট্রিকটন (১০০০ লিটার) পরিশোধিত তেলের মূল্য ৬৫০ ডলার, অর্থাৎ ৬৫০×৮৬ = ৫৫ হাজার ৯০০ টাকা, লিটার প্রতি মূল্য- ৫৫ টাকা ৯০ পয়সা।’
এর সঙ্গে শিপিং খরচ প্রতি মেট্রিক টন- গড়ে ৬৫ ডলার অর্থাৎ (৬৫×৮৬) = ৫,৫৯০ টাকা, লিটার প্রতি- ৫ টাকা ৬৯ পয়সা। মাদার ভ্যাসেল থেকে লাইটারে এবং লাইটার থেকে নির্ধারিত জেটিতে কন্টেইনারে লোড-আনলোড খরচ লিটার প্রতি গড়ে ৫ টাকা। বোতলজাতকরণ বা প্যাকেজিং খরচ প্রতি লিটারে সর্বাধিক- ১০ টাকা। চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে পরিবহন খরচ- লিটারপ্রতি সর্বোচ্চ ৫ টাকা। পরিশোধিত ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্ক- ১৪ শতাংশ হিসেবে প্রতি মেট্রিকটনের শুল্ক- ৭,৮২৬ টাকা, যা লিটার প্রতি দাঁড়ায় ৭ টাকা ৮০ পয়সা। এর সঙ্গে যদি আমদানিকারক (১০ টাকা) ডিপো (৫ টাকা) ডিলার (৫ টাকা) পাইকার (৫ টাকা) খুচরা (১০ টাকা) সবার মুনাফা ধরে যদি লিটার প্রতি আরও ৩৫ টাকা যোগ করি, তাহলে ভোক্তার নিকট পৌঁছানো পর্যন্ত, লিটার প্রতি তেলের মূল্য দাঁড়ায়- ৫৫.৯০+৫.৫৯+৫+১০+৫+৭.৮০+৩৫=১২৪.২৯ টাকা।’
রপ্তানিকারক থেকে ভোক্তার কাছে পৌঁছানো অবধি সব ব্যয়ভার বহন ও সম্ভাব্য মুনাফা যোগ করেও লিটার প্রতি ১২৫ টাকায় সয়াবিন তেল পৌঁছানো সম্ভব। প্রয়োজন শুধু ইতিবাচক মানসিকতা, স্বদিচ্ছা, সততা ও দেশপ্রেম।
খুলনা গেজেট/ এস আই