১১৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ধামাকার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার আল আমিন বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি করেন। বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া।
তিনি বলেন, ধামাকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জসীম উদ্দিন চিশতীসহ ছয়জন এবং তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলাটি সিআইডি করেছে।
মামলার আসামিদের সম্পর্কে ওসি নূরে আজম মিয়া বলেন, ‘ধামাকার মালিকানা প্রতিষ্ঠান মাইক্রো ট্রেড গ্রুপ, সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম লিমিটেড এবং ইনভ্যারিয়েন্ট টেকনোলজি লিমিটেড এই তিনটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।’
আসামি ছয়জন হলেন জসীম উদ্দিন, তার স্ত্রী ইনভ্যারিয়েন্ট টেলিকম বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদা রোকসানা খানম, ছেলে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান তাশফির রেদোয়ান চিশতী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজিমউদ্দীন আসিফ, পরিচালক মাশফিক রেদোয়ান চিশতী ও সাফওয়ান আহমেদ। তাদের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ১১৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এর আগে গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্সভিত্তিক আরেক প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধেও সম্প্রতি একাধিক মামলা হয়েছে।
এর মধ্যে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের মালিক ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গত ১৭ আগস্ট মামলা করেন কয়েকজন ভুক্তভোগী।
এ মামলায় এরই মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রধান তিন আসামি ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান ও প্রতিষ্ঠানের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানউল্লাহ চৌধুরীকে।
সোনিয়া মেহজাবিন কাগজে-কলমে ই-অরেঞ্জের মালিক হলেও তার ভাই বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ সোহেল রানা আড়ালে থেকে সব পরিচালনা করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাকে ভারতের বিএসএফ সম্প্রতি গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনার পর তাকে বরখাস্ত করেছে পুলিশ।
খুলনা গেজেট/ এস আই