চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার শেখটলা গ্রামের বদিউজ্জামানের বাড়িতে জেলার সব চেয়ে বড় ছাগল পালন করা হচ্ছে। ছাগলটির ওজন ১১০ কেজি। নাম বাদশা। বাদশাকে দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ ছুটে আসছে।
বদিউজ্জামানের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, দেড় বছর আগে ঢাকা থেকে সিরোহি জাতের ছাগলটি ৫০ হাজার টাকায় কিনে এনেছিল আমার ছেলে দুরুল হুদা। তখন থেকে লালন-পালন করছি। এখন বাদশার ওজন প্রায় ১১০ কেজি।
তিনি বলেন, বাদশা দৈনিক প্রায় ১০০ টাকার খাবার খায়। দিনে তিন থেকে পাঁচ বার খাওয়াতে হয় তাকে। এর মধ্যে বেশি পছন্দ বিভিন্ন গাছের পাতা। এছাড়া তার খাদ্য তালিকায় রয়েছে চাল, গম, ঘাস, কাঁঠাল পাতা, ডালের গুড়া।
তিনি আরও বলেন, বাড়িতে সবাই ছাগলটিকে খুব আদর করে। তাই সবার সঙ্গেই সে মিশে যায়। ছাদের ওপর সুন্দর করে ঠান্ডা স্থানে তার জন্য ঘর করা আছে। সেখানেই বাদশা থাকে। সে খুব ঠান্ডা বাসস্থান পছন্দ করে। এখন বাদশাকে বিক্রি করলে প্রায় দেড় লাখ টাকা পাওয়া যাবে।
বদিউজ্জামানের ছেলে দুরুল হুদা বলেন, যখন ছাগলটি কিনে এনেছিলাম, তখন ওজন ছিল প্রায় ১৫-২০ কেজি। আমাদের বাড়িতে এখন প্রায় ৫০টি ছাগল রয়েছে। আরও একটি ছাগল আছে, যার ওজন প্রায় ৭০ কেজি। সেই ছাগলটি বিক্রি করলে প্রায় ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে।
বিশাল আকৃতির বাদশাকে দেখতে এসেছেন কানসাটের তরিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমারও ইচ্ছে এমন জাতের ছাগল দিয়ে একটি খামার তৈরি করার। এত বড় ছাগল এর আগে আর কোনো দিন দেখিনি। তার নাম যেমন বাদশা দেখতেও বাদশার মতো।
শিবগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শ্রী রনজিৎ চন্দ্র সিংহ মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত বছর আমরা শিবগঞ্জে ৯০ কেজি ওজনের একটি ছাগল দেখেছিলাম। সিরোহি জাতের ছাগল বাণিজ্যিকভাবে তেমন পালন করা হয় না। তবে অনেকেই শখের বসে বাড়িতে লালন-পালন করে থাকে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে জেলায় এর থেকে বড় ছাগল নেই।