‘মোরা গরীব মোগো কেউ নাই। মোর বোবা পোলাডারে যে মারছে হ্যার একছের ক্ষমতা তাই আল্লাহ এর বিচার করবেন।’ কষ্ট আর আক্ষেপে এমন করেই কথাগুলো বলছিলেন শরণখোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাক প্রতিবন্ধী শিশু মোহাম্মদ (১২) এর মা হতদরিদ্র আসমা বেগম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বকুলতলা গ্রামের মাঃ আলমগীর ফরাজীর বাক প্রতিবন্ধী ছেলে মোহাম্মদ কোরাআন পড়া শিখতে প্রতিদিনই মসজিদে যায়। এ ঘটনায় একই গ্রামের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন টুকু মৃধার মেয়ে সাজনীন আক্তারের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী মোহাম্মদের মা তার ছেলেকে শাসন করলেও টুকু মৃধার মনোপুত না হওয়ায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে পুনরায় শিশুটি মসজিদে গেলে টুকু মৃধা মোহাম্মদকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুষি মারে। শিশুটি মাটিতে পড়ে গেলে পেটে লাথি মেরে আহত করে। পরে প্রতিবন্ধী পরিবারকে হাসপাতালে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। ঘটনার চারদিন পরে প্রতিবন্ধী শিশু মোহাম্মদের পায়খানা-প্রসাব বন্ধ হয়ে গেলে গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কিশোরের মা বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য দেলোয়ার হোসেন খলিলকে জানালেও তিনি এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে সুকৌশলে এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোঃ দেলোয়ার হোসেন টুকু মৃধা বলেন, আমার মেয়ের সাথে ঝগড়া করার কারনে আমি দু’একটি চড় থাপ্পড় দিয়েছি।
সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য দোলোয়ার হোসেন খলিল বলেন, তিনি বিষয়টি শুনেছেন এবং প্রতিবন্ধী শিশুর চিকিৎসার খরচ বহন করা সহ সুষ্ঠ বিচারের আশ্বাস দেন।
শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এসএম ফয়সাল আহমেদ বলেন, শিশুটির পেটে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে, তার শারিরীক অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই