বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার সুপার এইটের ম্যাচে তাওহীদ হৃদয়কে আউট করে এবারের বিশ্বকাপে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন প্যাট কামিন্স। ২০ তম ওভারের প্রথম বলটি অফ স্টাম্পের বাইরের স্লোয়ার ডেলিভারিতে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে কুয়াচ দেন হৃদয়। সেই ক্যাচ খুব সহজেই নেন জশ হ্যাজেলউড। এরপর সহজাতভাবেই নিজের উদযাপন সারতে দেখা যায় প্যাট কামিন্সকে।
কামিন্স যে হৃদয়কে আউট করে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন সেটাই বুঝতেই পারেননি। হ্যাটট্রিকের কথা তার মাথায়ও ছিল না। ১৮তম ওভারে নিজের শেষ দুই বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও শেখ মেহেদীর উইকেট নিয়েছিলেন কামিন্স।
ফলে ২০তম ওভারে বল করতে এসে হ্যাটট্রিকের সামনে ছিলেন তিনি। হ্যাটট্রিকের পর জায়ান্ট স্ক্রিনে চোখ যায় কামিন্সের সেখানে দেখেই বুঝেছেন হ্যাটট্রিক হয়েছে। এরপর সতীর্থ মার্কাস স্টইনিসও এসে তাকে জানান হ্যাটট্রিকের ব্যাপারে। হৃদয় বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা ব্যাটার। এই উইকেটটিকে বড় উইকেটের আখ্যা দিয়েছেন কামিন্স।
ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার কোনো ধারণাই ছিল না। জায়ান্ট স্ক্রিনে দেখলাম। (মার্কাস) স্টয়নিসও এসে বলল। সেট ব্যাটসম্যান (হৃদয়) ছিল স্ট্রাইকে, তাদের ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিল। আপনি কখনও বলতে পারবেন না, (সেখান থেকে) কী হতে পারে। তো সেটি বড় উইকেট ছিল। তাদের আটকে রাখতে পারায় খুশি।‘
আজ অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ পেসার হিসেবে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন কামিন্স। তার আগে ব্রেট লি, অ্যাস্টন অ্যাগার ও ন্যাথান এলিস হ্যাটট্রিক করেছেন। ব্রেট লি ও এলিস বাংলাদেশের বিপক্ষেই হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছিলেন। এবার টাইগারদের দিয়েই নিজের ক্যারিয়ারে হ্যাটট্রিক পূ্রণ করলেন কামিন্স।
খুলনা গেজেট/এএজে