সুইং স্টেট (দোদুল্যমান) উইসকনসিনের পর মিশিগানেও জয় পেলেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী জো বাইডেন। এই অঙ্গরাজ্যের ১৬টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পাচ্ছেন তিনি। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সিএনএন ও এএফপির খবরে বলা হয়েছে, মিশিগানে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় পেয়েছেন বাইডেন। এই জয়ের ফলে সব মিলিয়ে বাইডেনের ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬৪। আর ট্রাম্প এখন পর্যন্ত পেয়েছেন ২১৪ ভোট। মোট ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে প্রেসিডেন্ট হতে প্রয়োজন ২৭০ ভোট। এর মানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে বাইডেনের প্রয়োজন আর মাত্র ছয়টি ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
ফক্স নিউজ বলছে, মিশিগানে ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে বাইডেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পেয়েছেন ২৬ লাখ ১৮ হাজার ৯৩ ভোট। ভোট গণনার শুরু থেকেই এখানে তুমুল লড়াই চলছিল দুই প্রার্থীর মধ্যে। কখনো ট্রাম্প এগিয়েছেন, কখনো বাইডেন। তবে শেষ হাসি হাসলেন বাইডেন।
সুইং স্টেটে এই জয় তাঁকে হোয়াইট হাউসের পথে অনেক দূর এগিয়ে নিল। বিপরীতে এই হার ট্রাম্পকে অনেকখানি পিছিয়ে দিল। ২০১৬ সালে মিশিগানে তৎকালীন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে শেষ হাসি হেসেছিলেন ট্রাম্প।
গণমাধ্যমগুলোতে মিশিগানে বাইডেনের জয়ের খবর আসার কিছু সময় আগে ট্রাম্প শিবির এই অঙ্গরাজ্যে মামলা করার কথা ঘোষণা করে। এক বিবৃতি দিয়ে ট্রাম্প শিবির মামলা করার কথা বলেছে। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের ব্যবস্থাপক বিল স্টেপিন এক বিবৃতিতে বলেন, মিশিগানের আইন অনুযায়ী ভোট গণনার নির্ধারিত জায়গায় ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার শিবিরের কাউকে সেভাবে উপস্থিত থাকার সুযোগ দেওয়া হয়নি। সে কারণে তাদের পক্ষে ব্যালট পেপার খোলা ও ভোট গণনার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়নি।
এদিকে মিশিগানের আগে উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যেও জয়ী হন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। এই অঙ্গরাজ্যে ১০টি ইলেকটোরাল ভোট রয়েছে। এগুলো যুক্ত হচ্ছে বাইডেনের ঝুলিতে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এই অঙ্গরাজ্যে জয় পেয়েছিলেন ট্রাম্প। ফক্স নিউজ বলছে, উইসকনসিনে বাইডেন পেয়েছেন ১৬ লাখ ৩০ হাজার ৫৪৮ ভোট। আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্প পেয়েছেন ১৬ লাখ ১০ হাজার ৭ ভোট।
খুলনা গেজেট/কেএম