এক ম্যাচ বাকি রেখেই সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে ব্যাটিংটা যুতসই করেনি টাইগাররা। ১৯৩ রানের টার্গেটে বাংলাদেশের বোলারদের সাবধানে খেলছেন আফগান ব্যাটাররা। ওপেনিং জুটিতেই তারা তুলে ফেলেছে ৭৯ রান।
৩৫ রান করা রিয়াজ হাসানকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলে এ জুটি ভেঙেছেন সাকিব আল হাসান। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জুটি গড়েই জয় ছিনিয়ে নেয় আফগানরা। দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যায় রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ও রহমত শাহ।
এর অনেক সময় পর মেহেদি হাসান মিরাজের বলে স্টাম্পিংএর ফাঁদে পড়ে ১৭৯ রানে জুটি ভেঙ্গে সাজ ঘরে ফেরেন রহমত শাহ ক্রিজে আসেন হাসমত ইল্লাহ সাহিদি।
দল জিততে যখন মাত্র দশ রান বাকি এমন সময় হাসমত ইল্লাহ সাহিদি আউট হয়ে ফেরেন প্যাভেলিয়নে। এর মাঝেই আফগানের হালধরা রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ১০৫ বলে ব্যাক্তিগত রানের এক শতকের পথ পাড়ি দেয়। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে জয় হয় আফগান দলের।
খেলার শুর থেকে শেষ
লিটনের দুর্দান্ত ইনিংসেও টাইগারদের দুর্বল সংগ্রহ
দৃঢ় ব্যাটিংয়ে আরো একবার পরিপক্কতার প্রমাণ দিলেন লিটন দাস। সেঞ্চুরি হাঁকাতে না পারলেও টাইগার ওপেনার খেলেন ১১৩ বলে ৮৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে ব্যাট হাতে উজ্জ্বল একমাত্র লিটনই। তামিম ১১ রানের হতাশার পর সাকিবের সংগ্রহ ৩০ রান। শেষে ধীর গতির অপরাজিত ইনিংসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ২৯ রান। এছাড়া কেউই ছুঁতে পারেনি দুই অঙ্কের কোঠা। ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিন বাংলাদেশের সংগ্রহটাও যুতসই নয়। ৪৬.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ১৯২ রান।
সেঞ্চুরি হলো না লিটনের
হোয়াইটওয়াশের মিশনে ব্যাট করতে নেমে তামিম-লিটনের ধীর গতির পার্টনারশিপ থামে ৪৩ রানে। তামিম ১১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর লিটন-সাকিবের ৬১ রানের জুটিতে জমে ওঠে বাংলাদেশের ইনিংস। তবে সাকিব ৩০ রানে আউট হওয়ার পর আর কেউই সঙ্গ দিতে পারছিলেন না লিটনের। আসা যাওয়ার খেলায় একপাশ আগলে রেখে ফিফটি হাঁকিয়ে সেঞ্চুরির পথে এগোচ্ছিলেন লিটন। কিন্তু ব্যাক টু ব্যাক হান্ড্রেড হাঁকানো হলো না টাইগার ওপেনারের। ৮৬ রানে লিটনের উইকেট কাটা পড়ে মোহাম্মদ নবীর বোলিংয়ে।
৩৫তম ওভারের শেষ বলে নবীকে খেলতে গিয়ে গুলবাদিন নায়েবের তালুবন্দি হন লিটন। ১১৩ বলের দুর্দান্ত ইনিংসে ৭টি চার হাঁকান লিটন।
লিটনের পরে মুজিব উর রহমানের শিকার হন আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৬ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দলীয় ১০৪ রানে ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশ ৫৬ রান জড়ো করতে হারালো ৪ উইকেট।
৩৮ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৬০ রান।
এবার ১ রানে আউট ইয়াসির আলী
অভিষেক ওয়ানডেতে ডাক মারেন ইয়াসির আলী চৌধুরী। দ্বিতীয় ম্যাচে লিটন-মুশফিকের অনবদ্য জুটিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামার সুযোগ হয়নি তার। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে ফের ব্যর্থ হলেন ইয়াসির। ৪ বলে ১ রান করে রশিদ খানের উইকেটে পরিণত হন তিনি।
লিটন-সাকিবের জুটিতে আশার আলো দেখতে পাওয়া বাংলাদেশ ৩০.২ ওভারে ১২৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে।
থিতু হতে পারলেন না মুশফিক
ধীরে সুস্থে মাঠে থিতু হওয়ার চেষ্টায় ছিলেন মুশফিকুর রহীম। পরিপক্ক ব্যাটিংয়ে আশা জাগাচ্ছিলেন গত ম্যাচের ন্যায় লিটনের সঙ্গে বড় পার্টনারশিপ গড়ার। তবে বেশিদূর এগোয়নি মুশফিকের ইনিংস। মাত্র ৭ রান করে শিকার হলেন আফগান ম্যাজিকম্যান রশিদ খানের।
২৬তম ওভারের শেষ বলে রশিদের ঘূর্ণি মুশফিকের ব্যাট স্পর্শ করে ধরা দেয় উইকেটে থাকা গুরবাজের গ্লাভসে।
২৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১২১ রান।
মুশফিকের বিদায়ের পর লিটনের (৬৬) সঙ্গী হয়েছেন ইয়াসির আলী চৌধুরী (০)।
২ উইকেটে একশ পার বাংলাদেশের
উইনিং ইলেভেন নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। ধীরে সুস্থে শুরু করা তামিম-লিটনের ওপেনিং জুটির বিচ্ছেদ হয়েছে দলীয় ৪৩ রানে। এরপর লিটন দাসের সঙ্গে ৬১ রানের পার্টনারশিপ গড়েন সাকিব আল হাসান। দেশসেরা অলরাউন্ডার ৩৬ বলে ৩০ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। দলীয় ১০৪ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
২৩.৩ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে টাইগারদের সংগ্রহ ১০৮। ফিফটি হাঁকিয়ে ইনিংস বড় করছেন লিটন দাস (৫৯)। ৭ বলে ৩ রান নিয়ে ক্রিজে রয়েছেন মুশফিকুর রহীম।
লিটনের ফিফটি
‘আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটার হয়ে উঠবেন লিটন’Ñ টাইগারদের সাবেক কোচ স্টিভ রোডসের ভবিষ্যদ্বাণীর যথার্থ মূল্যায়ন করছেন লিটন দাস। দ্বিতীয় ম্যাচে অনবদ্য ১৩৬ রানের ইনিংসের পর এবার হাঁকালেন ফিফটি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ৬৩ বলে ক্যারিয়ারের ৪র্থ অর্ধশতক পূর্ণ করেন লিটন।
১৯.৫ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯১ রান। লিটনের সঙ্গে ১৯ রানে ক্রিজে রয়েছেন সাকিব আল হাসান।
ফের নিষ্প্রভ তামিম
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে তামিম ইকবালের সংগ্রহ ছিল যথাক্রমে ৮ এবং ১২রান। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও ব্যর্থতার বৃত্ত ভেদ করতে পারেননি টাইগার অধিনায়ক। এবার সাজঘরে ফিরলেন ১১ রানে। ২৫ বলের ধীর গতির ইনিংসে একটি বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। ১২ ওভার শেষে ১ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫৫ রান। ক্রিজে রয়েছেন লিটন দাস (২৯) এবং সাকিব আল হাসান (৯) রান।
‘হোয়াইটওয়াশ’ মিশনে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
আফগানিস্তানকে সিরিজ হারিয়ে ইতোমধ্যেই ওয়ানডে সুপার লীগের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এবার ঘরের মাঠে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করার পালা। ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় এবং শেষ ম্যাচে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ বেলা ১১টায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়বে টাইগাররা। এরইমধ্যে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
এই ম্যাচেও অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে টিম টাইগার্স। আফগানিস্তানের একাদশে এসেছে একটি পরিবর্তন। একাদশে ফিরেছেন গুলবাদিন নায়েব। বাদ পড়েছেন ফরিদ আহমেদ মালিক।
বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), ইয়াসির আলী চৌধুরী, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, শরীফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান।
আফগানিস্তান একাদশ: রহমানউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), রিয়াজ হাসান, রহমত শাহ, হাশমতউল্লাহ শহীদি (অধিনায়ক), নাজিবুল্লাহ জাদরান, আজমতউল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, গুলবাদিন নায়েব, রশিদ খান, মুজিব উর রহমান এবং ফজল হক ফারুকি।