খুলনা, বাংলাদেশ | ২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৬৭
  রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২
  ঝিনাইদহে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু

হেলমেট পরে লাঠিসোটা নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, আহত ২ শতাধিক

গেজেট ডেস্ক 

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের চতুর্মুখী হামলায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) বেলা তিনটা থেকে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। তারপরই শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

জানা গেছে, ছাত্রলীগের হামলায় আহত দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে অন্তত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা ঢাবির মেডিকেল সেন্টার এবং ঢামেক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে আহত শিক্ষার্থীদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হলে সেখানেও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসএম হল ছাত্রলীগ, জগন্নাথ হল ছাত্রলীগ, মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হকিস্টিক, লাঠি নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের মহানগরের নেতাকর্মী এবং বহিরাগতরা ঢামেকে যান। তারা মেডিকেলের গেট ঘিরে থাকায় আহত কেউ হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারেনি।

অন্যদিকে বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে রাজু ভাস্কর্যে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী ইনান ঘোষণা দেন, সবাই দোয়েল চত্বরে যান। তখন ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রলীগ, ফজলুল হক মুসলিম হল ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের দোয়েল চত্বর ও মেডিকেল মোড় এলাকায় অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এ দিন দুপুর ১২টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ইডেন কলেজ ও নার্সিং কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। দুপুর আড়াইটার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের একটি দল মিছিল নিয়ে প্রতিদিনের মতো ঢাবির হলগুলোতে যান। এ সময় দুপুর তিনটার দিকে খবর আসে, বিজয় একাত্তর হলে মিছিলে শিক্ষার্থীদের ওপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হচ্ছে।

খবর পেয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল নিয়ে বিজয় একাত্তর হলের দিকে যান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের সঙ্গে নারী শিক্ষার্থীরাও ছিলেন। এ সময় বিজয় একাত্তর হলে হেলমেট, লাঠিসোটা, হকিস্টিক নিয়ে হলগেটে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হলগেটে ভাঙচুর চালায়।

এ সময় পার্শ্ববর্তী কবি জসীমউদ্‌দীন হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ও মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। তখন দুই-তিনজন শিক্ষার্থীকে মারতে থাকে ছাত্রলীগের কর্মীরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পালটা ধাওয়া হয়।

সংঘর্ষের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন বলেন, আমাদের নেতা-কর্মীদের তারা উস্কে দিয়েছে। আমরা দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছি। আজকে তাদেরকে আমরা ৫ মিনিটে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দিয়েছি। ছাত্রলীগের হামলার বিষয়ে শয়ন বলেন, ওরা সাধারণ শিক্ষার্থী নন, তারা বিএনপির ইশরাকের কর্মী। এই আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থী ১০-২০ শতাংশ। বাকি ৮০ শতাংশ শিবির-ছাত্রদলের এক্টিভিস্ট। জামায়াত-শিবির, ছাত্রদলকে আমরা যুগে যুগে পরাজিত করেছি। তারা কোনো কিছুই করতে পারেনি। এবারও কিছু করতে পারবে না। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের তিন থেকে চারজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!