যশোরে মাদকদ্রব্য হেরোইনের মামলায় নারী কারবারি রিজিয়া খাতুনকে যাবজ্জীবন ও ইয়াবার মামলায় ইকরামুল গাজীসহ দু’জনকে পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদনণ্ড ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরো দু’জনকে খালাস দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বিশেষ দায়রা জজ ও স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ সামছুল হক এ আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বিশেষ পিপি সাজ্জাদ মোস্তাফা রাজা। সাজাপ্রাপ্ত রিজিয়া খাতুন শার্শা উপজেলার বাগুড়ী গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী ও ইকরামুল গাজী সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার ইলিশপুর গ্রামের ইসলাম আলী গাজীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২৫ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে শার্শা থানা পুলিশ মাদক ব্যবসায়ী রিজিয়া খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় রিজিয়া খাতুন, একরামুল গাজী, আফিল উদ্দিন ও খাতুন নামে ৪ জনকে আটক করে। আসামিদের মধ্যে রিজিয়া খাতুনের কাছ থেকে ৪শ’ গ্রাম হেরোইন, ২শ’পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও মাদক বিক্রির সাড়ে ১৪শ’ টাকা এবং ইকরামুল গাজীর কাছ থেকে ২শ’ পিছ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক চার জনের বিরুদ্ধে শার্শা থানায় মামলা করেন এসআই মুরাদ হোসেন। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ২০ অক্টোবর ওই চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা গোড়পাড়া পুলিশ ক্যাম্পের এসআই বাবুল আক্তার।
এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষী গ্রহণ শেষে আদালত আসামি রিজিয়া খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১৯ এর (১) টেবিলের ১ (খ) ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড ও ৯ এর (খ) ধারায় ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ড এবং আসামি ইকরামুল গাজীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৯ এর (খ) ধারায় পাঁচ বছর সশ্রম কারাদন্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারক। রায়ে রিজিয়া খাতুনের সাজা একই সাথে চলার আদেশ দেয়া হয়েছে। আসামি অপর দু’জন আফিল ও খাতুনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত দু’জনই বর্তমানে কারাগারে আটক রয়েছেন।
খুলনা গেজেট/কেডি