খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে ২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি গ্রেফতার করে পুলিশ। একই বছরের ২০ জানুয়ারি ক্রসফায়ারে হত্যা করে লাশ ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়। ওই ঘটনায় আট বছর পর ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ১৫ পুলিশের বিরুদ্ধে হেফাজতে নির্যাতন ও মৃত্যু (নিবারণ) আইন মামলার আবেদন করা হয়েছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামানের আদালতে এ মামলার আবেদন করেন নিহত জনির পিতা ইয়াকুব আলী। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে মামলাটি গ্রহণের মতো উপাদান না থাকায় তা খারিজ করে দেন।
মামলার আবেদনে অপর আসামিরা ছিলেন– চট্টগ্রামের বর্তমান কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবি রমনা জোনের এস আই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এস এম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এস আই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গির হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান, ডিবির উপ-পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, খিলগাঁও থানার এস আই মো. আলাউদ্দিন। ঘটনার সময় প্রত্যেকেই ডিএমপি দক্ষিণ জোন ডিবিতে কর্মরত ছিলেন।
বাদী পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। তাকে সহযোগীতা করেন আইনজীবী নুরুল ইসলাম জাহিদ, হান্নান ভুইয়া।
অপর দিকে ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল মামলা গ্রহণ না করতে শুনানিতে বিরোধীতা করেন।
তিনি বলেন, ঘটনার আট বছর পর মামলা করতে আসা মানে রাজনৈতিক ফয়দা আছে। এতদিন তারা মামলা করেনি। রাজনৈতিক ফয়দার জন্য এ মামলার আবেদন করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি