আজ শক্তিমান অভিনেতা হুমায়ূন ফরিদীর নবম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০১২ সালের এই দিনে না ফেরার দেশে চলে যান অভিনেতা। প্রতি বছর ১৩ই ফেব্রুয়ারি তার ভক্তদের মনে একটা শূন্যতা নাড়া দেয়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন নাট্যাঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত হন এ অভিনেতা। মঞ্চ নাটকের পাশাপাশি টিভি নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি কুড়ান তিনি। পরে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেও মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন। সেলিম আল দ্বীনের ‘শকুন্তলা’ নাটকের তক্ষক চরিত্রের মধ্য দিয়ে অভিনয়ে অভিষেক হয় তার। ১৯৮২ সালে তিনি ‘নীল নকশার সন্ধানে’- নাটকে অভিনয় করেন।
এটি ছিল তার প্রথম টেলিভিশন নাটক। এরপর, একে একে অভিনয় করেছেন ‘ভাঙ্গনের শব্দ শোনা যায়’, ‘সংশপ্তক’, ‘দুই ভাই’, ‘শীতের পাখি’ এবং ‘কোথাও কেউ নেই’- এর মতো দর্শকপ্রিয় নাটকে। ‘হুলিয়া’, ‘জয়যাত্রা’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘বিশ্ব প্রেমিক’, ‘ভণ্ড’, ‘মায়ের অধিকার’, ‘আজকের হিটলার’, ‘একাত্তরের যীশু’, ‘আনন্দ অশ্রু’-সহ অনেক সিনেমাতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। তার সর্বশেষ সিনেমা ‘মেহেরজান’। ২০১১ সালে নির্মিত এই সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন জয়া বচ্চনের সঙ্গে। এই অভিনেতা নিজের চরিত্রকে এতো অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলতেন যে দর্শকরাও হারিয়ে যেতেন সেই অভিনয়ের মায়াজালে। দাপটের সঙ্গে খল চরিত্রে অভিনয় করলেও ইতিবাচক চরিত্রেও তার অভিনয় ছিল অতুলনীয়
খুলনা গেজেট/এনএম