চুক্তির সময় ঘনিয়ে এলেও সংরক্ষিত ৯০ হাজার মেট্রিক টন আলু নিয়ে বিপাকে ঠাকুরগাঁওয়ের হিমাগার মালিকরা। লোকসানের ভয়ে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সময়মতো কোল্ডস্টোরেজ থেকে আলু বের না করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মালিকরা বলছেন, সময়মতো পণ্য বের না করা হলেও হিমাগারের মেশিন বন্ধ থাকবে।
বাজারে কাঙ্খিত দাম না পেয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে মাসের পর মাস হিমাগারে মজুদকৃত পচন ধরা আলু আলাদা করার কাজে ব্যস্ত শ্রমিকরা। উৎপাদন ও সংরক্ষণ ব্যয় কেজি প্রতি ১৮ থেকে ১৯ টাকা পড়লেও এখন পাইকারি বাজারে ১৬ থেকে ১৭ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাই বেশি দামের আশায় কৃষক ও ব্যবসায়ীরা হিমাগারে রেখেছেন ৫০ ভাগ আলু।
চুক্তির সময় ঘনিয়ে এলেও আলু বের না করার অনীহায় আলু পচে নষ্ট হচ্ছে হিমাগারে। এ ছাড়া আগামী মাসের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেই বন্ধ করা হবে হিমাগারের কার্যক্রম। এমন প্রেক্ষাপটে দ্রুত মজুতকৃত আলু বের করার উদ্যোগ না নিলে হাজার হাজার মেট্রিক টন আলু নষ্টের শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
জানা যায়, আগে আলু বের করা হয়নি দাম ছিল না বলে। আরও জানা যায়, কর্তৃপক্ষ মেশিন বন্ধ করে দেবে আগামী মাসে। এর মধ্যে যদি আলু বিক্রি না হয় তাহলে নষ্ট হয়ে যাবে।
বর্তমান বাজার দরে আলু বিক্রি করলেও কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। আর আলু বের না করা হলে অধিক লোকসানে পড়বে বলে মনে করে হিমাগার কর্তৃপক্ষ।
ঠাকুরগাঁও সদর শাহী হিমাগার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৫ নভেম্বরের মধ্যে যদি আলুগুলো বের না করে, তাহলে আমরা একাধারে ব্যাংকের কাছে ঋণী থাকব, বিদ্যুৎ বিলও পরিশোধ হবে না। সেক্ষেত্রে হিমাগার মালিকরা বিপাকে পড়বে।
চলতি বছর জেলায় সাড়ে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদন হয়েছে। জেলার ১৫টি হিমাগারে এক লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন আলু সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম