লড়াই করেও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে জেতাতে পারলেন না ডেভিড ওয়ার্নার। ৩৪ রানের দাপুটে জয় নিয়ে চলতি ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) পয়েন্ট তালিকার শীর্ষস্থান দখল করেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রোহিত শর্মাদের দেওয়া ২০৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদ ৭ উইকেটে থামে ১৭৪ রানে। তার আগে মুম্বাই ৫ উইকেটে করে ২০৮ রান।
রোববার (০৪ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (৬) হারালেও মুম্বাইয়ের রানের গতি সচল রাখেন ওপেনার কুইন্টন ডি কক। সুর্যকুমার যাদব (২৭) ও ঈশান কিষাণের (২৭) সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি জুটি গড়ে দলকে তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছে দিয়ে রশিদ খানের বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ডি ককের ৩৯ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪ চার ও ৪ ছক্কায়।
তৃতীয় উইকেট হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান যখন ফিরছিলেন তখন মুম্বাইয়ের রান ১২৬। সেখান থেকে হার্দিক পান্ডিয়ার ১৯ বলে ২৮, অপরাজিত থাকা দুই ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ডের ১৩ বল ২৫ ও ক্রুনাল পান্ডিয়ার ৪ বলে ২০ রানের সুবাদে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় মুম্বাই।
হায়দ্রাবাদের হয়ে ৪ ওভারে ৪১ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন সন্দ্বীপ শর্মা। সমান উইকেট নিতে ৬৪ রান খরচ করেন সিদ্ধার্থ কাউল।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত করেন হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। কিন্তু দলীয় ৩৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ২ চার ও ২ ছক্কায় ১৫ বলে ২৫ রান করে ফেরেন বেয়ারস্টো। এরপর ঝলক দেখাতে থাকে মনীষ পান্ডের ব্যাটও। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩০ রানে তিনিও ফেরত যান জেমস প্যাটিনসনের বলে।
এরপর লড়াইটা একাই চালিয়ে যান ওয়ার্নার। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেন উইলিয়ামসন (৩), প্রিয়ম গার্গরা (৮)। এরপর মুম্বাইয়ের চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ানো ওয়ার্নারকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান প্যাটিনসন। অজি ওপেনারের ৪৪ বলে ৬০ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫ চার ও ২ ছক্কায়।
পরে হায়দ্রাবাদের আর কোনো ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেননি। অভিষেক শর্মা (১০), আব্দুল সামাদ (২০) স্থায়ী হননি বেশিক্ষণ। ব্যক্তিগত ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন রশিদ খান। এক বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি সন্দ্বীপ।
মুম্বাইয়ের হয়ে ২টি করে উইকেট ভাগাভাগি করেছেন ট্রেন্ট বোল্ট, প্যাটিনসন ও জসপ্রীত বুমরাহ।
খুলনা গেজেট/এএমআর