প্রথম ম্যাচের একাদশে ছিলেন না আফগানিস্তানের তারকা লেগ স্পিনার রশিদ খান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেই টেস্টে হেরে সিরিজ হারের শঙ্কায় ছিল আফগানরা।
দ্বিতীয় টেস্টে রশিদ খানের রাজসিক প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান হাসমতউল্লাহ শহিদী। এই তারকা ব্যাটসম্যান আফগানিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরির ইতিহাস গড়েন।
একই টেস্টে দুই ইনিংস মিলে ১১ উইকেট শিকার করেন ছোট দেশের বড় তারকা রশিদ খান। আফগান এই দুই তারকার পারফরম্যান্সে ভর করে আবুধাবি টেস্টে ৬ উইকেটের দাপুটে জয়ে সিরিজে ১-১ ড্র করে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে হাসমতউল্লাহ শহিদীর ডাবল এবং অধিনায়ক আসগর আফগানের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৪ উইকেটে ৫৪৫ রান নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে আফগানিস্তান। ২০০ রান করেন হাসমত, ১৬৪ রান করেন আসগর।
জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে রশিদ খানের লেগ স্পিন আর আমির হামজার বাঁ-হাতি স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ২৮৭ রানে অলআউট হয়ে ফলোফনে পড়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ফলোঅন এড়াতে নেমেও বিপাকে পড়ে তারা।
তবে অধিনায়ক শেন উইলিয়ামস ও ডোনাল্ড ত্রিপানোর দায়িত্বশীলতায় ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা এড়িয়ে লিড নেয় জিম্বাবুয়ে। অষ্টম উইকেটে ১৮৭ রানের জুটি গড়েন তারা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেও মাত্র ৫ রানের জন্য সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন ত্রিপানো। তার বিদায়ের পর মুজারাবানি ও ভিক্টর নাচুই সেভাবে সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক উইলিয়ামসকে। যে কারণে ১০৭ রানের ছোট লিড নিয়ে ৩৬৫ রানে অলআউট হয় জিম্বাবুয়ে। দলের হয়ে একাই ১৫১ রান করেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট শিকার করা রশিদ খান দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৭ উইকেট।
১০৮ রানের সহজ টার্গেট তাড়া করতে নেমেও ৪ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলের জয় নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন রহমত শাহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৪৫/৪ (হাসমত ২০০, আসগর ১৬৪, ইব্রাহিম জাদরান ৭২) এবং দ্বিতীয় ইনিংস: ১০৮/৪ (রহমত শাহ ৫৮, ইবরাহিম জাদরান ২৯; মুজারাবানি ২/২৫, রায়ান বুল ২/১৬)।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ২৮৭/১০ (সিকান্দার রাজা ৮৫, প্রিন্স মাসভুরা ৬৫, কাসুজা ৪১, মুসাকান্দা ৪১; রশিদ খান ৪/১৩৮) এবং দ্বিতীয় ইনিংস: ৩৬৫/১০ (শেন উইলিয়ামস ১৫১*, ত্রিনিপানো ৯৫; রশিদ খান ৭/১৩৭)।
ফল: আফগানিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ ১-১ ড্র।
খুলনা গেজেট/কেএম