কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে শিশু চুরি করতে গিয়ে লিমা খাতুন (৩০) নামের এক নারী আটক হয়েছেন। শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) রাতে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই নারী। পরে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এছাড়াও কয়েকদিন আগে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কয়েকজন রোগী ও স্বজনদের মোবাইল ফোন চুরি করেও ধরা পড়েছিল এ নারী।
আটক লিমা খাতুন মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষের চর গ্রামের ফরিদ আলীর স্ত্রী।
রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, লিমা খাতুন সন্ধ্যা থেকেই হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে সন্দেহজনকভাবে ঘুরাফেরা করছিল। একপর্যায়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে গিয়ে শিশু চুরির চেষ্টা করে। এ সময় রোগীদের স্বজনরা অভিযুক্ত লিমাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। পরে বিষয়টি কুষ্টিয়া মডেল থানায় জানালে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে লিমাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
রোগীর স্বজনরা ঢাকা পোস্টকে বলেন, লিমার ব্যাগে বিভিন্ন ঔষধ, সিরিঞ্জ, চিনি, বাচ্চাদের কাপড়চোপড় পাওয়া গেছে। সে শিশু চোর। আমরা তাকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কর্তব্যরত নার্সরা বলেন, শিশু চুরি করতে এসে এক নারী ধরা পড়েছে। রোগীর স্বজনরা তাকে ধরে পুলিশে দিয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আশরাফুল আলমের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, লিমা নামের ওই নারী কয়েকদিন আগে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের বেশ কয়েকজন রোগী ও তাদের স্বজনদের মোবাইল চুরি করে ধরা পড়েছিল।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির চেষ্টার অভিযেগে লিমা নামের এক নারীকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।