আর্লিং হালান্ডকে আটকাতে পারেনি সেভিয়া। নিজেদের মাঠেও পারেননি; অতিথি হিসেবেও না। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের (ইউসিএল) শেষ ষোলোর দ্বিতীয় লেগে হালান্ডের জোড়া গোলে শেষ আট নিশ্চিত করে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। এর আগে ২০১৬-১৭ মৌসুমে জার্মান ক্লাবটি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল।
মঙ্গলবার রাতে সিগনাল ইদুনা পার্কে ২-২ গোলে ম্যাচটি ড্র হয়। প্রথম লেগে সেভিয়ার মাঠে ৩-২ গোল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল বরুশিয়া। দুই লেগ শেষে ৫-৪ ব্যবধানে জয় নিয়ে শেষ আটে যায় বুন্দেস লিগার দলটি।
দুই লেগে জোড়া গোল করেছেন হালান্ড। এখন পর্যন্ত ইউসিএলে সর্বোচ্চ ২০ গোল করা কমবয়সী ফুটবলার তিনি। ঘরের মাঠে দারুণ খেলতে থাকা বরুশিয়াকে প্রথমার্ধে এগিয়ে দেন হালান্ড। রেউসের পাস থেকে ডি-বক্সের ৬ গজ দূর থেকে সেভিয়ার জালে লক্ষ্যভেদ করেন ২০ বছর বয়সী এই তারকা।
১-০ গোলের সমীকরণ নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতি থেকে ফিরেই ৯ মিনিটের সময় পেনাল্টি থেকে দলকে পুনরায় এগিয়ে দেন হালান্ড। জুলেস কউন্ডে ডি বক্সে হালান্ডকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বরুশিয়া।
দুই গোলে পিছিয়ে থেকেও হাল ছেড়ে দেয়নি সেভিয়া। এরপরেই যেন প্রাণ ফিরে পায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। ম্যাচের ৬৭ মিনিটের সময় এমার ক্যান ডি বক্সে ফাউল করায় এবার পেনাল্টি পায় সেভিয়া। দারুণ শটে গোল শোধ করতে ভুল করেননি ইউসেফ এন-নেসেরি। এরপর আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ হলেও গোলের দেখা পাচ্ছিলো না কোনো দল। ঠিক রেফারির দেওয়া সময়ে এসে দারুণ হেডে ম্যাটি ড্র করেন ইউসেফ।
ঘরের মাঠে ম্যাচে হারাটাই যেনো কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল সেভিয়ার জন্য। তাই এই ম্যাচে ড্র করেও দুই লেগের খেলায় ১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিদায় নিতে হয় ইউরোপ সেরার টুর্নামেন্টের শেষ ষোলো থেকে। এর আগের বার কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলেও ইউসেফরা এবার আর পারেননি।
খুলনা গেজেট/কেএম