প্রথম দুই ম্যাচে টানা হেরে বেশ ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল দেশের যুব ক্রিকেটাররা। তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে ছন্দে ফেরার পর পুরো সিরিজটাই বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল নিজেদের করে নিয়েছে। ফাইনালে তারা হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। স্পিনার মাহফুজুর রহমানের ঘূর্ণির পর পরের অংশে আধিপত্য দেখিয়েছেন ব্যাটাররা। মাহফুজ একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। যার কল্যাণে বাংলাদেশ ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে আফগানদের হারিয়েছে।
আজ (৩০ মার্চ) আবুধাবির টলারেন্স ওভালে ত্রিদেশীয় সিরিজে ফাইনালে মুখোমুখি হয় দু’দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে আফগান যুবারা। সিরিজে এর আগের দুই দেখায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সমান একটি করে ম্যাচ জিতেছিল। প্রথম ম্যাচে আফগানরা দাপট দেখালেও পরের দেখায় টাইগাররা জিতে নেয় অসাধারণ বোলিং নৈপুণ্যে।
সমান লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিয়ে ফাইনালে আফগানদের আগে ব্যাটে পাঠায় বাংলাদেশ। ম্যাচের শুরু থেকেই বল-রানে তাল মিলিয়ে খেলতে থাকা আফগান ব্যাটিংয়ে প্রথম ধাক্কা খায় দলীয় ২৮ রানে। ওপেনার হিজবুল্লাহ দুরানিকে বোল্ড করে ফেরান তরুণ পেসার মারুফ মৃধা। এরপর সেই ধাক্কা সামলানোর চেষ্টা চালায় আফগান ব্যাটাররা। ঠিক তখনই শুরু মাহফুজ ভেলকি। ৫৩ থেকে ৬০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষ আফগানিস্তানের আরও চারটি উইকেটের পতন হয়। তার মধ্যে তিনটিই নিয়েছেন মাহফুজ। অপর উইকেটটি নেন পারভেজ রহমান জীবন।
৬০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁঁকছিল আফগানিস্তান। ফলে মনে হচ্ছিল টাইগারদের সামনে তেমন বড় লক্ষ্য দিতে পারবে না তারা। তবে এরপর ৫৪ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন দুই আফগান ব্যাটার হারুন খান ও খালিদ তানিয়াল। হারুন নিজের ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন। এরপরই দ্রুত কামব্যাক করে বাংলাদেশ। মাত্র ২৯ রানের মধ্যে তারা পুরো আফগান ইনিংস ধসিয়ে দেয়। ফলে বাংলাদেশের সামনে মাত্র ১৪৩ রানের সহজ লক্ষ্য দাঁড়ায়।
রান তাড়ায় ১৩ বলে ৩ চারে ১৭ রান করে বিদায় নেন আশিকুর রহমান। তিনে নেমে জিশান আলম করেন ৩৫ রান। ১৯ বলে তিনি খেলেন ৭টি চারের মার। এরপর তৃতীয় উইকেটে ৫৩ রানের জুটিতে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আরিফুল ইসলাম। আরিফুল ৩৩ বলে করেন ২২। ওপেনার রিজওয়ান ৪৯ বলে ৫ চার ও এক ছক্কায় করেন ৪৩।
বাকি কাজ সারেন আহরার আমিন ও মোহাম্মদ শিহাব। বোলারদের পর ম্যাচ সহজেই নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন ব্যাটাররা। তাদের দৃঢ়তায় মাত্র ২৩.২ ওভারে বাংলাদেশ ৬ উইকেট হাতে রেখে জয় পায়। অথচ ত্রিদেশীয় সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে তারা হারে আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কার কাছে। এরপর শ্রীলঙ্কাকে একবার ও আফগানদের দুবার হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় যুব টাইগাররা।