দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নেমেই ম্যাচ শুরুর ৫ মিনিটে গোল করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সকে এগিয়ে নিলেন থিও হার্নান্দেজ। অথচ লুকাস হার্নান্দেজ ইনজুরিতে না পড়লে বোধহয় বিশ্বকাপে প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়া হতো না থিও হার্নান্দেজের। আর সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগালেন থিও।
এ গোলের মাধ্যমে এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো প্রতিপক্ষের ফুটবলারের কাছ থেকে গোল হজম করল আফ্রিকার দেশটি।
কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে হতবাক করে দিয়ে ১-০ গোলের জয়ের মাধ্যমে বিশ্বকাপের শেষ চার নিশ্চিত করে মরক্কো। অন্যদিকে দুর্দান্ত এক ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীবারের মত বিশ্বকাপ স্বপ্ন ধরে রাখতে চায় ফ্রান্স।
টানা দ্বিতীয় ফাইনাল খেলার লক্ষ্যে কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের ম্যাচে আফ্রিকান সিংহ মরক্কোর মুখোমুখি হওয়ার আগে ইনজুরির কবলে পড়েছে লেস ব্লুস শিবির। পুরো টুর্নামেন্ট দারুণ খেলা ফ্রান্সের ডিফেন্ডার উপামেকানো ও মিডফিল্ডার আদ্রিয়ান রাবিওক অসুস্থতার কারণে মরক্কোর বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন। তাদের পরিবর্তে দলে জায়গা পেয়েছেন ইব্রাহিম কোনাটে এবং ফোফানা। ম্যাচের আগেই অবশ্য তাদের নিয়ে শঙ্কা ছিল।
অন্যদিকে স্বপ্নের মত বিশ্বকাপ কাটানো মরক্কোর কাছে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালটা একেবারে অন্যরকম। আগেই আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ইতিহাস গড়েছে তারা। এছাড়াও দ্বিতীয় মুসলিম দেশ হিসেবে সেমিফাইনাল খেলার কৃতিত্বও দেখায় মরক্কো। এবার প্রথম আফ্রিকার প্রথম দেশ হিসেবে ফাইনালে খেলতে চায় আফ্রিকার সিংহরা। সে লক্ষ্যেই দুর্দান্ত একাদশ নিয়েই মাঠে নামছে তারা।
ফ্রান্স একাদশ
হুগো লোরিস, কুন্ডে, ইব্রাহিম কোনাটে, ভারান, হার্নান্দেজ, ফোফানা, অরেলিয়েন চৌয়ামেনি, ওসমান ডেম্বেলে, অলিভার জিরুড, অঁতোয়ান গ্রিজম্যান ও কিলিয়ান এমবাপ্পে।
মরক্কো একাদশ
ইয়াসিন বৌনৌ, রোমেন সাইস, নায়েফ আগুয়ের্ড, নউসায়ের মাজরাউই, আশরাফ হাকিমি, সোফিয়ানে আমরাবাত, এল ইয়ামিক, আজাদিনে ওউনাহি, ইউসেফ আন নাসিরি, সোফিয়ানে বৌফাল ও হাকিম জিয়েচ।