সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে থাকতে আফগানিস্তানের সঙ্গে অনেক বড় ব্যবধানে জিততে হতো অস্ট্রেলিয়াকে। কিন্তু আফগানিস্তান সেটা হতে দেয়নি। আগেই সেমির লড়াই থেকে বিদায় নেওয়া আফগানরা হারলেও ঠিক বিপদে ফেলে গেল অস্ট্রেলিয়াকে। বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে সহজে জিততে দেয়নি আফগানিস্তান। ব্যাটে-বলে ম্যাচ জমিয়ে শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হেরেছে আফগানরা। তাতে পয়েন্ট বাড়লেও রানরেটে তেমন বাড়েনি অসিদের।
এতে সবার আগে সেমিফাইনালের টিকেট নিশ্চিত হলো নিউজিল্যান্ডের। এরপর ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু তাদের রানরেটে টেবিলের তিনে থাকা ইংল্যান্ডের চেয়ে কম। এতে করে শেষ ম্যাচে যদি ইংলিশরা জিতলে কপাল পুড়বে অসিদের। বিদায় নিতে হবে গ্রুপ পর্ব থেকেই।
এদিকে অসিদের জয়ে বিদায় নিশ্চিত হলো শ্রীলঙ্কারও। এখন শেষ ম্যাচে ইংলিশদের হারালেও আর সেমিফাইনালে যেতে পারবে না লঙ্কানরা। সেক্ষেত্রে ইংলিশরা হারলে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া যেতে পারবে সেমিফাইনালে।
এদিন আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ১৬৮ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। জবাব দিতে নেমে আফগানিস্তান ১৬৪ রান করে। রান তাড়ায় দারুণ শুরু করে আফগানরা। এক পর্যায়ে ম্যাচের গতিও তাদের পক্ষে চলে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তীরে এসে তরি ডুবল আফগানিস্তানের।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৩ বলে ৪৮ রান করেন রশিদ খান। সমান ২৩ বল খেলে ৩৯ রান করেন নাইব। ১৭ বলে ৩০ রান করেন গুরবাজ।
এর আগে আজ শুক্রবার অ্যাডিলেডে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি। ২.১ ওভারে দলীয় ২২ রানে অসি ওপেনার ক্যামেরন গ্রিনকে (৩) আউট করেন ফজল হক ফারুকী।
পরে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা করেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। বেশিদূর যেতে পারেনি এই জুটি। দলীয় ৫০ রানে ওয়ার্নারকে (২৫) আউট করে জুটি ভাঙেন আফগান বোলার নবিন-উল-হক। ৪ রান পরেই স্টিভেন স্মিথ (৪) আউট হলে বিপদে পড়ে অসিরা। দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করে মার্শ-স্টয়নিস জুটি। এই জুটির সংগ্রহ ৩৪ রান। দলীয় ৮৬ রানে মার্শ (৪৫) আউট হলে উইকেটে আসেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
স্টয়নিসকে নিয়ে ম্যাক্সওয়েল করেন ৫৩ রানের জুটি। আর এই জুটিতেই চেপে অসিরা শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৬৮ রান করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ বলে ৫৪ রান করেন ম্যাক্সওয়েল। ৫৪ রানের ইনিংসে তিনি ছয়টি চার এবং দুটি ছক্কা মেরেছেন। আফগানিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন নবিন-উল-হক।