ইরান জানিয়েছে, ইসরাইলে তাদের হামলা ‘সমাপ্ত’ হয়েছে। ইসরাইল যদি আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে, তবে তারা দামেস্কে তাদের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে আর কিছু করবে না। তবে ইরানি বাহিনী সম্ভাব্য ইসরাইলি হামলা মোকাবেলায় খুবই সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, দামেস্কের কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলার বিরুদ্ধে তাদের জবাব হবে সুনির্দিষ্ট এবং সীমিত। আর যে হামলা শনিবার রাতে হয়েছে, তাতে সেটাই দেখা গেছে। ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলশনারি গার্ড কোর এই হামলার নাম দিয়েছিল ‘ট্রু প্রমিজ।’
তেহরান থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা দোরসা জাব্বারি বলেন, আমরা ইরান থেকে আরো ভয়াবহ কিছু দেখতে পারতাম। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, এটা পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ ছিল না। তবে নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, ইরান কী করতে পারে, তা এর মাধ্যমে বোঝা গেছে। ইরান থেকৈ ইসরাইলে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন নিক্ষেপ আমরা আগে কখনো দেখিনি।
রাষ্ট্রীয় টিভির খবর অনুযায়ী, ইরানি প্রজেক্টাইলগুলো সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোতে সফলভাবে আঘাত হেনেছে। তবে গতিপথে বাধা দিয়েছে ইসরাইল।
এখন এই ঘটনার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়েছে। ইসরাইল কী করে, তাই এখন দেখার বিষয়। আর এ কারণে রেভ্যুলশনারি গার্ড অত্যন্ত সতর্কাবস্থায় রয়েছে। তারা ইসরাইলের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছে।
আল জাজিরার ওই সাংবাদিক বলেন, আমরা রাষ্ট্রীয় টিভিতে এক কমান্ডারকে বলতে শুনেছি যে ইসরাইলের কাছ থেকে যেকোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া হবে আরো কঠোর জবাব।
এখন ইরান অপেক্ষা করছে ইসরাইল কী করে তা দেখার জন্য। পরিস্থিতি বর্তমানে যে অবস্থায় চলে এসেছে, তার চেয়ে আরো উত্তেজনাকর অবস্থায় চলে আসে কিনা তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
গত ১ এপ্রিল দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরাইলি হামলায় দুই শীর্ষ কমান্ডারসহ আইআরজিসির কয়েকজন কর্মকর্তা নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই হামলা চালানো হলো। ওই হামলা নিয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলছিল।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) হামলার কথা স্বীকার করে বলেছে, বেশিভাগ আক্রমণ প্রতিহত করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইরানি হামলায় দক্ষিণ ইসরাইলের একটি বিমান ঘাঁটিতে কিছু ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন আহত হয়েছে। কারো মারা যাওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
খুলনা গেজেট/ টিএ